সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন ও প্রকল্পের অর্থ ছাড় না করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। গত ৮ মে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় উপসচিব মো: আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন ও প্রকল্পের অর্থ ছাড় না করা এবং নির্বাচন আচরণ বিধি পরিপন্থি কার্যক্রম। সিটি নির্বাচনে ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ ( সংলগ্নী-৪) এর বিধি অনুযায়ী নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার তারিখ হতে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোন প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যাক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত কোন প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে পারবেন না। এ বিধিমালার বিধান লংঘন দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্টগণ উল্লিখিত আচরণ বিধিমালার বিধি ৩১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন। পরিপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোন প্রার্থী সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের কোন সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এমনকি মাশুল প্রদান করেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। সিটি কর্পোরেশনের কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কোন অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া, কোন প্রার্থী সিটি কর্পোরেশনের দরপত্র আহবান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়াও, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় অনুদান, ডিভিডি, কাবিখা, ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বা উন্নয়নমূলক কোন প্রকল্প অনুমোদন বা উন্নয়নমূলক কোন প্রকল্প অনুমোদন না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ইতঃপূর্বে অনুমোদিত কোন প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করা নিতান্ত আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।