বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেছে মেয়র সাদিক অনুসারীদের এক অংশ।
সোমবার সদর রোডস্থ সোহেল চত্বর বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ এ কেএম জাহাঙ্গীর বলেন, একটা গোষ্ঠী স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা মামলায় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ সাতজনকে ফাঁসিয়েছেন। আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার চাই।
তিনি বলেন, গতকাল যে ঘটনায় রইজ আহমেদ মান্নাকে গ্রেপ্তার করেছে, সেখানে মান্না ছিল না। যার সিসিটিভির প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তবু ওই স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে মিথ্যা মামলায় মান্নাকে ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হেসেন লিটুসহ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতারা।
সিটি নির্বাচন ঘিরে বরিশালে উত্তাপ:
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনীত করায় বরিশালের স্থানীয় আঃলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ করতে নামায় কর্মীদের কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করে কাউনিয়া থানা পুলিশ।
বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কে এবার দল থেকে মনোনয়ন না দেয়ার তার অনুসারীরা নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিরবে কূটকৌশল অবলম্বন করে আসছিলো।এর আগেও নৌকার পক্ষে নামায় রইজ মান্না সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি ধামকি দিলে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিলো।
বরিশালের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত কে সমর্থন করে প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করে গেলেও মেয়র সাদিক অনুসারীদের গুটিকয়েক নেতাকর্মীরা এখনো নানান অযুহাতে নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে। যা বরিশালের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সহ রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রবিবার রাত ১টার দিকে পিজুস কান্তির বাসার পেছন থেকে দুজন ও বিসিকের কোকোনাট মাঠ থেকে আট জনকে আটক করা হয়। পরে সাত জনকে গ্রেপ্তারদেখানো হয়।
ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ গ্রেপ্তার সাতজন হলেন, রইজ আহমেদ মান্নার ছোটভাই নাদিম, সম্পদ, মামুন, পারভেজ, আলআমিন ও মেহেদি হাসান।
ছাত্রলীগ নেতাসহ সাত কর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান মুকুল। সেই মামলায় আজ আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।