বিসিসির আওতাধীন ওএমএস এর দুই ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর। ২৪ মে বুধবার নগরীর ১৮ এবং ১৯ নং ওয়ার্ডের দুই ডিলার এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমান পেয়েছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর বরিশাল। এ বিষয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অদিপ্তরের খাদ্য পরিদর্শক মৌসুমি আক্তার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল বিসিসি আওতাধীন এরাকায় ওএমএস(ওপেন মার্কেট সেল) এর সরকারি বরাদ্দের চাল এবং আটা বিক্রি কার্যক্রম চলছিল। এসময় নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের ডিলার ওবায়দুর তার নির্ধারিত স্থান মুন্সি গেড়েজ পেশকার বাড়ি এলাকায় নিজস্ব দোকানে চাল আটা বিক্রি করছিল। এর কিছুক্ষন পরে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গির আলমের নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষক দল সেখানে গিয়ে চাল ও আটার পরিমানে হেরফের দেখতে পান। একই দিনে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডে নতুন বাজার এলাকার পর্যবেক্ষনে গিয়ে ডিলার হাসানুল এর পন্য বিক্রিতেও একই ধরনের অনিয়ম নজরে আসে। এ সময় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওই দুই ডিলারের পন্য বিক্রি স্থগিত করেন। মৌসুমি আক্তার আরও জানান, ২৫ মে অফিস কার্য-দিবসে ওই দুই ডিলারের বিরুদ্ধে প্রথমে শো-কজ এবং অভিযোগ প্রমান সাপেক্ষে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে দেশে অস্বাভাবিক হারে চাল ও আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এই দুটি পন্য রাখার নিমিত্তে সারাদেশে খোলা বাজার চাল ও আটা বিক্রি শুরু করে। যা এখনও চলমান রয়েছে। এতে করে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ কিছুটা হলেও এই পন্য দুটি কিনে এই র্দুমুল্যের বাজারে সস্তির নিঃশাস ফেলতে পারছে। তবে, অধিকাংশ সময় কিছু সংখ্যক ওএমএস ডিলারদের অনিয়ম এবং অধিক মুনাফা লাভের কারনে সরকারের এই মহতি কার্যক্রম ব্যবহত হচ্ছে।