বুধবার (৩১ মে) বরিশালে জেলা ও মহানগরের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম ওলামাদের মতবিনিময় সভায় প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও মহানগরের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম ওলামাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ মে) বেলা ১১ টার দিকে বরিশাল বিএম স্কুল হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নৌকার নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য কেবিএস আহমেদ কবির, এ্যাড. আনিচ উদ্দিন সহিদ, মহানগর যুবলীগের সদস্য মাহামুদুল হক খান মামুন, মানবাধিকার কর্মী মাহাবুব মোর্শেদ শামিম, সমাজকর্মী কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু, পোর্ট রোড জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সাইদুর রহমান কাশেমী, অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, ডিসি ঘাট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইদুর রহমান, বরফ কল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জামাল উদ্দিন ফারুকী, কালুশাহ সড়ক জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম সমিতির সহ-সভাপতি মাওলানা মনিরুজ্জামান নুরানী ও বিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমিন হাওলাদারসহ বরিশালের ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন, বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের মত খোকন সেরনিয়াবাত যেদিন মনোনয় পেয়েছেন সেদিন নগরীতে ঈদের খুশি বিরাজ করেছে। ৭৫ সালে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তারপরও আল্লাহ তাকে বাচিয়ে রেখেছেন বরিশালের মানুষের সেবা করার জন্য। আওয়ামীলীগ নিয়ে মানুষ নানা প্রবাকান্ডা ছড়ায়, অথচ যিনি এই দলের কর্ণধার সেই বঙ্গবন্ধু টুংগিতে তাবীলীগের জন্য জমি বরাদ্ধ দিয়েছেন, কাকরাইল মসজিদ সম্প্রসারনে জমি দিয়েছেন, দেশে জুয়া ও মদকে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করেছেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামী ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করেছেন, কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন ও ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্ট করেছেন। এক কথায় বঙ্গবন্ধু ইসলাম সম্প্রসারনের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছন। তারই ধারাবহিকতা শেখ হাসিনা অবিচল রেখেছেন। সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বরিশালের উন্নয়নের জন্য খোকন সেরনিয়াতকে মেয়র পদে মনোনীত করেছেন। বক্তারা আরো বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুখে ধর্মের কথা বললেও তাদের লিফলেটে পর্যন্ত বিসমিল্লাহ লেখেননি। কিন্তু নৌকার প্রচারনার লিফলেটের লেখা শুরু হয়েছে আল্লাহর নাম দিয়ে। হারাম পদ্বতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায়না বলে বক্তারা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, যেসব দল ধর্মের কথা বলে তারা ইসলামের জন্য কি করেছে। বরং আওয়ামীলীগ ইসলাম সম্প্রসারনের জন্য সর্বচ্চ কাজ করে যাচ্ছে। একটি পক্ষ ইসলামের সাথে আওয়ামীলীগকে বিভক্ত করতে চায়। আওয়ামীলীগের নামে নানা প্রবাকান্ডা ছড়াচ্ছে। অথচ আওয়ামীলীগই ইসলামের ধারক ও বাহক ইমাম-মুয়াজ্জিন, আলেম-ওলামাদের জন্য সর্বচ্চ কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬৪ টি জেলায় ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ নির্মান করেছেন। যেখানে ইসলামের চর্চা হবে। শুরু করেছেন মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম। মুসলমানদের মধ্যে অনেক অপশক্তি প্রবেশ করেছে। আলেমদের এই অপশক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। খোকন সেরনিয়াবাত আরো বলেন, নির্বাচীত হলে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানোর চেষ্টা করবো। আমি সেবা করতে এসেছি। আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী করে সেই সেবা করার সুযোগ চান নৌকা মার্কার এই প্রার্থী।