বরিশাল নগরীর বান্দরোডের বঙ্গবন্ধু কলোনিতে আগুনে চার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর বান্দরোডের বঙ্গবন্ধু কলোনিতে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি’র নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘড়ের বসবাস কারীদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এবং তিনি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র পক্ষে তাদেরকে বলেন, এর আগেও নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড ও ১৯ নং ওয়ার্ডে আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতভিটা পুননির্মাণ করে দেবার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদেরকে সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পুড়ে যাওয়া ঘড়ের বসবাসকারীদের সান্তনা দিয়ে আস্বস্ত করে বলেন আমাদের মাননীয় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী তিনি বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব এই ঘড়গুলো পুননির্মাণ করে দেবার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, তদন্ত ছাড়া আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে নিশ্চিত করে জানাতে পারছেন না তারা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু কলোনির মো. কালাম হাওলাদারের বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে নেভানোর চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশেপাশের বসতঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরাও ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজে সহায়তা করে।
এদিকে খবর পেয়ে বরিশাল সদর ও নৌ ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। সম্মিলিতভাবে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তবে এর আগেই মো. কালাম হাওলাদারের পাশের মলি বেগম, নয়ন ফকিরসহ ৪ জনের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আরও ৪টি বসতঘর আংশিক পুড়ে যায়।
এছাড়া ৩ জন অগ্নিদগ্ধ এবং আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করতে গিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক স্বেচ্ছাসেবকসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. বেল্লাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সদর নৌ ফায়ার স্টেশনের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন নেভানোর আগেই চারটি বসতঘর পুরোপুরি এবং চারটি বসতঘর আংশিক পুড়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসায় আগুন অল্প সময়েই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
এদিকে বিষয়টি তদন্ত না করে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও সেলিম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, মো. কালাম হাওলাদারের বসতঘরের বৈদ্যুতিক মিটারের অংশে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী।এরপর ই পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি’র নির্দেশে বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘড়ের বসবাসকারীদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং সব গুলো পুড়ে যাওয়া ঘড় পুননির্মাণ করে দেবার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।