যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-উচ্ছ্বাস ও ত্যাগের মহিমায় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে বরিশালে। ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে বরিশালবাসী ঈদ উদযাপন করছেন।
বরিশালের ৮ হাজার মসজিদে পবিত্র ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম। ঈদ জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান সৃষ্টিকর্তার নামে পশু কোরবানিসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। বরিশাল কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহে ঈদের জামাতের আয়োজন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি , নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আমিন, জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গির হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গির, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, শাহিন শিকদারসহ সর্বস্তরের মানুষ নামাজে অংশ নেন।
বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাত উপলক্ষে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহে সকল প্রবেশপথ ও ভিআইপিদের নামাজের স্থানসহ ঈদগাহ মাঠের গোটা প্যান্ডেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঈদগাহ ময়দানে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন।
এদিকে বরিশাল জেলার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় চরমোনাই দরবারের মাদরাসা ময়দানে। এখনে সকাল ৮ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইমামতি করেন চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম। দ্বিতীয় বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় উজিরপুরের গুটিয়ার নান্দনিক বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে।
বরিশালে পশু কোরবানি হচ্ছে ১৪২ স্থানে
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পশু কোরবানির জন্য ১৪২টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির যাবতীয় বর্জ্য অপসারণর করবে সিটি কর্পোরেশন ।
বিসিসির প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. রেজাউল কবির জানান, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য আগেই তারা ১৪২টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কোরবানির দিন দুপুর ২টা থেকে বিসিসির ১ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করবেন। রাত ৮টার মধ্যে কোরবানির যাবতীয় বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে সিটির তেমন কোন পূর্বের ন্যার প্রচার প্রচারনা না থাকায় নগরীর মূল সড়ক থেকে শুরু করে যত্রতত্র চলছে পশু জবাই এবং রাস্তায় বসেই পশুর গোস্ত ছাড়ানো সহ উৎকৃষ্ট বজ্য রাস্তার উপর ফেলে যাচ্ছে রক্তে সড়ক গুলোতে মাছির ভনভনানি নগরজুড়ে। এতে করে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরার শংকায় রয়েছে বরিশাল নগরবাসী। এবিষয়ে সঠিক তদারকির অভাবে এবং সিটির নির্ধারিত স্থানের বিষয় নগরবাসিদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ঢিলেমির ফলেই যত্রতত্র পশু জবাই করে গোটা নগরী দূষিত করছে এখানকার জনগন। এবিষয় কতৃপক্ষের ভূমিকা রয়েছে নীরবে।