শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, যার যার এলাকায় পরিচ্ছন্ন, বাড়ির আঙিনায় পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই মশার বিস্তার রোধ সম্ভব। তাছাড়া ডেঙ্গু মশা মানুষের জীবন নাশ করছে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি জনসচেতন বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে।
আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা ও নড়িয়া পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর তিনি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, কাজ শেষে পানি যেন এক দিনের বেশি জমিয়ে না রাখা হয়। প্রতিদিনের পানি প্রতিদিন পরিষ্কার করলে এডিস মশার লার্ভা বংশবিস্তার করতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া ডেঙ্গু প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
পরে ভূমখাড়া ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে ও ঘড়িষার ইউনিয়নের ঘড়িষার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন উপ-মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপি ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় না থাকার পারার অন্তর্দহনে জ্বলছে। কিভাবে কোন পথে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, তা নিয়েই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এজন্য আন্দোলনের নামে পেট্টোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিতেও বাদ রাখেনি। তবে এ দেশের জনগণ গণধিকৃত বিএনপিকে আর কখনোই ক্ষমতায় আনবে না। এজন্য দেশের মানুষ বারবার বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে।
উপ-মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল। দেশ ও দেশের মানুষের সকল দূর্যোগে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই পাশে থাকে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল। আর বিএনপির জন্ম হচ্ছে ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া দল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। তার ছেলে তারেক রহমানকে দেশের অর্থ বিদেশের পাচার করেছিল। তারেক রহমান বিদেশে পলাতক। তার খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়েও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মহানুভবতায় বাসায় থাকতে পারছে। মহানুভবতাকে দূর্বলতা ভেবে বারবার ভুল করছে বিএনপি। কোনো দফায় কাজ হবে না। দফা একটাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনবে জনগণ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরৎ চন্দ্র বৈদ্য, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, এসি ল্যান্ড মো. পারভেজ, নড়িয়া থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি বাদশা শেখ,
উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিহির চক্রবর্ত্তী প্রমূখ।