বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের ১০ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বরিশালের সন্তান সোলায়মান ইসলাম মুন্না। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে মুন্না সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
সোলায়মান ইসলাম মুন্না বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এইচএসসি পাশ করে তিনি ভর্তি হন অমৃত লাল দে কলেজে। নিয়মিত অংশগ্রহন করতেন ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রামে। কলেজের ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত অবস্থায় বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের ১০ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এইচএসসি পাশ করে ২০১৩-২০১৪ সেশনে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ট্যুরিজন এন্ড হসপিটালি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তি হয়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে উঠেন। পূর্বের ন্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছি মিটিংয়ে অশংগ্রহন করেন। নির্বাচিত হন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দপ্তর সম্পাদক। পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক উপ-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। যে কমিটির সভাপতি ছিলেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গোলাম রব্বানী। আর সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় সোলায়মান ইসলাম মুন্না তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান আমাকে যে সম্মান ও দায়িত্ব দিয়েছেন এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি। আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সকলের সাথে আমি আমার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবো। এছাড় সারাদেশের ছাত্র সমাজের কল্যাণে আমি কাজ করার চেষ্টা করবো।
ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় এই পথ কতটা সহজ ছিলো এমন প্রশ্নে মুন্না বলেন, আমাদের বরিশালের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ভাইয়ের হাতেই আমার ছাত্রলীগের হাতেখড়ি। কলেজ জীবনে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অসিম দেওয়ান বরিশালে যে ৩০টি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করেছেন সেখানে ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমাকে মনোনীত করা হয়। পরবর্তীতে একটা মহানগরীর ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এ পর্যন্ত আশা আমার জন্য মোটেও সহজ ছিলোনা। কিন্তু এই পথচলায় আমি শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ভাইয়ের সহযোগিতা পেয়েছি সব সময়। তার স্বাক্ষরিত কমিটিতেই আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে, এটি আমার জন্য অনেক বড় একটি অর্জন।
অন্যদিকে একজন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি পদ পাওয়ায় খুঁশি তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
মুন্নার বন্ধু সাজিদ হাসান দীপ্ত জানান, বরিশালে শিক্ষাজীবন থেকেই মুন্না ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বরিশাল মহানগরীর একটি ছোট্ট ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়া বিশাল একটি ব্যাপার। এতে আমরা মুন্নাকে নিয়ে গর্ববোধ করছি।