বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে কর্তব্যরত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এপিসি, মোঃ হাসান’র তৎপতায় এক রোহিঙ্গা যুবক সহ আরো দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বরিশাল বিভাগীয় অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছেন এক রোহিঙ্গা যুবক। তাকে সহায়তা করার অভিযোগে আরো দুই বাংলাদেশি নাগরিককেও আটক করা হয়েছে । বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক জানান, ইসমাইল দালাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। ওই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন। বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে কর্তব্যরত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর, এপিসি, মোঃ হাসান এর বিষয়টি সন্দেহ হলে ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তিনি মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে হোসাইন নিজের নাম সোহেল বলে জানিয়েছেন। পরে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে মো. হোসাইন পাওয়া গেছে। তাকেও রোহিঙ্গা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
আটক রোহিঙ্গা যুবক মো. ইসমাইল (১৮) উখিয়া থানার বালুখালী এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে। তিনি বরিশালের কাজিরহাট থানার শ্যামেরহাট কসবা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। সেখানে নিজের নাম মো. রাফি ও বাবার নাম ছাদের আলী বেপারী উল্লেখ করেন। তাকে সহায়তা করার অভিযোগে আটককৃতরা হলো- বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানার চরসোনাপুর গ্রামের হাসেম ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৭) ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে মো. হোসাইন। পরবর্তীতে আটক ওই ৩ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলালউদ্দিন জানান, আটককৃত তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।