এস এম নওরোজ হীরা বরিশাল বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৫ নং দূর্গাপাশা ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ প্রকল্পের ৭, ৮এবং ৯ নং ওয়ার্ডের জিও ব্যাগে বালু ভরাটের মহা অনিয়ম। এই নিম্ন মানের বালুর বিষয়ে প্রতিবাদ করার কারনে গত সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে সে দূর্গাপাশার চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার লাইনে নাই জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে রাঘব বোয়ালদের চক্ষুশুল হয়ে মিথ্যা মামলায় পড়েছিল কিন্তু আজ দূর্গাপাশার জনগণ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিজ চোখে দেখবে আসলে চেয়ারম্যানের তৎকালীন সময়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ সঠিক ছিল, যা আজ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের সাইডে ঘোষকাঠি গিয়ে সরে জমিনে দেখা গেলো। এলাকার মানুষের ঠিকানার অস্তিত্বের সাথে যে প্রকল্প জড়িয়ে রয়েছে সেখানে দূর্নীতি, অনিয়ম ভরপুর। সরকার বরাদ্দ দেওয়ার পরে ও কেন শুধু মাত্র ব্যক্তি বিশেষ লাভবান হওয়ার কারনে দেশের মানচিত্র হতে বিলীন হতে চলছে দূর্গাপাশার ঘোষকাঠি। এর দায় কার? সংশ্লিষ্ট দপ্তরের, নাকি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের? আজ হতভাগা মানুষ গুলো তা জানতে চায়, এর সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকা বাসীর। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে , মেঘনা নদীর বালুর পরিবর্তে তেতুলিয়া নদীর কাঁদা মাটি দিয়ে উক্ত জিও ব্যাগ ভরাট করে অধিক লাভবান হওয়া,আসল ঠিকাদার কাজ না করে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তিকে সাফ ঠিকাদার , তৎকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে এই নিম্নমানের কাজ করার কারনে আজ ঘোষকাঠি এলাকার ৩৫/৪০ শতাংশ জমি সেই জিও ব্যাগ এবং ব্লকসহ তেতুলিয়া নদীর ভূগর্ভে চলে গেলো। এলাকার মানুষ এখন আতংকে দিনকাটাচ্ছে। রাগে ক্ষোভে এলাকার সাধারণ জনতা প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। গতকাল এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে পাঁচ নং দুর্গা পাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার, স্কুল-কলেজের ছাত্র-সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অত্র ইউনিয়নের সুশীল সমাজ। এদিকে নদীর গর্ভে বিলীন হওয়া ভাঙ্গন কবলিত এলাকা বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।