বরিশাল নগরীতে নয় বছরের শিশু তন্নিকে ধর্ষন ও হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।
একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষনা করেন।
মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, উত্তর সাগরদী নবগ্রাম রোড এলাকার আব্দুস ছালাম হাওলাদারের ছেলে ইমাম হোসেন হাওলাদার, একই এলাকার মো. মতিউর রহমান খানের ছেলে মো. শাহরিয়া খান শাকিল, মৃত. আবদুল আজিজ খানের ছেলে মো. বাছেদ খান ওরফে বাঘা।
এর মধ্যে মো. বাছেদ খান ওরফে বাঘা পলাতক রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চসহকারি মো. হুমায়ুন কবির।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মা সুমি বেগমের সাথে ঔষধ কিনতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় অটোযোগে নবগ্রাম রোডের যুবক হাউজিং এর সামনে নামে। সেখানে মা সুমি বেগম মেয়ে তন্নিকে তার বাবা টুনু পালোয়ানকে ডেকে আনতে পাঠান। এর পর থেকেই তন্নি নিখোঁজ হয়।
পরদিন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে নবগ্রাম রোডের খানসড়কের আল আমিনের বাড়ির ডোবা থেকে তন্নি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তন্নির বাবা টুনু পালোয়ান বাদি হয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মশিউর রহমান তদন্ত করে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।
১৭ জন স্বাক্ষির স্বক্ষ্যগ্রহন শেষে অপরাদ প্রমানিত হওয়ায় সোমবার আদালত এরায় প্রদান করেন।