আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বরিশাল কালেক্টরের স্কুল এন্ড কলেজ ও বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে স স বিদ্যালয়ের হল রুমে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল শহিদুল ইসলাম। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরিশাল মনদীপ ঘরাই, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্য্য, প্রধান শিক্ষক বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাহবুবা হেসেন। শুরুতে শিক্ষার্থীদের হতে জেলা প্রশাসনের সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণতঃ ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু জ্বর সেরে যায়, তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। বর্ষার সময় সাধারণত এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যায়। আপনার ঘরে এবং আশেপাশে যে কোন জায়গায় পানি জমতে না দেয়া। ফলে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারবে না। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম,মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা/নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী শেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পড়ে। কাজেই এগুলো বর্জ্য হিসেবে ব্যবস্থা নেয়া। ব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করুন।