বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আইনশৃংখলার অবনতি ঘটনোর যদি কেউ চেষ্টা করে আমরা আমাদের সর্বাক্তক চেষ্টা,প্রচেষ্টা দিয়ে যে কোন ধরনের নাশকতা এবং আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যে প্রচেষ্টা সেটা মোকাবেলা করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনির যে সক্ষমতা রয়েছে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি যদি কেউ ঘটাতে চায় এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
আমরা আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সার্বক্ষনিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের প্রতি যে জিরো টলারেন্সের নীতি এই নীতিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনি দায়িত্ব পালন করছে। এবং সেই দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছি।
পাহাড় এবং পার্বত্য অঞ্চলে হোক বা মৌলভি বাজারে হোক যেখানেই মাধাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে সেখানেই আমরা অভিযান পরিচালনা করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারছি।
আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি এবং এর ভিত্তিতে আমরা সফল অভিযান পরিচালনা করে এই দেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
রোববার বরিশার জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে পুলিশ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তা বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষা করতে গিয়ে যদি কোন সদস্য আক্রান্ত হয় বা আহত হয় তার জন্য যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা রয়েছে সেই চিকিৎসার ব্যাবস্থা আমরা করবো। সাথে সাথে যারা আক্রমনকারি তাদের বিরুদ্ধেও আইনআনুক কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আইজিপি আরো বলেন, নির্বাচন কালীন দায়িত্ব বাংলাদেশ পুলিশ দির্ঘদিন যাবত পালন করে আসছে। এই দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, প্রশিক্ষণ, লোকবল ও লজেস্ট্রিক রয়েছে এবং আইন সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পের্কে আমাদের জানা আছে।
নির্বাচন কমিশনের অধিনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। এবং নির্বাচন কমিশন আমাদের যে দায়িত্ব অর্পণ করবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে তা পালন করবো।
মতবিনিময় সভায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলামসহ জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধত্বন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান মুরাদ আহমেদ, দৈনিক পরিবর্তন পত্রিকার সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদসহ অনান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।