২০২০ সালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হয়ে বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির ২০২১ সালের ৯ মে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছিল। এরপর অজ্ঞাত কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে।
নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দায়িত্বরত কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে তার পদে অপর একজনকে অবৈধ নিয়োগ দেয়ায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ
সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা হয়।
জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ হাসিবুল হাসান মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. বায়জিদ।
নালিশীর বাদী হলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা শেখ মো. সোয়েব কবির। তিনি বরিশাল নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোডের বাসিন্দা শেখ মো. শাহাজাহান কবিরের ছেলে।
বিবাদীরা হলেন- সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং পদে বর্তমানে কর্মরত ওবায়দুর রহমান।
বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান মামলার বরাতে জানান, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর নেটওয়ার্কিং পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিটি করেপোরেশন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির ২০২১ সালের ৯ মে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছিল। এরপর অজ্ঞাত কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, তাকে চাকুরিচ্যুত না করে, সরকারী বিধিবিধান না মেনে একই পদে আরেকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি সিটি করপোরেশনে বিবাদীদের কার্যালয়ে গিয়ে বেতন-ভাতা দেয়ার ও অবৈধভাবে নিয়োগ বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা বেতন-ভাতা ও নিয়োগ বাতিল করা হবে না বলে জানিয়েছে।
তাই তার প্রাপ্য বেতন-ভাতা দিতে ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের প্রতিকার চেয়ে মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।