১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:৫২

স্মার্ট বরিশাল বিনির্মানে নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা একসাথে কাজ করবো- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

বিশেষ প্রতিবেদক:-
  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩,
  • 433 পঠিত

পানি সম্পদ মন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম এমপি  বলেছেন, ২০১৮ সালে নির্বাচিত হবার পর থেকেই স্বপ্ন ছিলো বরিশাল নগরীর উন্নয়ন করা। যদিও এ উন্নয়ন সিটি মেয়রের দায়িত্ব ছিলো। তিনি বলেন ’আমি সিটি মেয়রকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম, সহযোগিতার কথা সিটি কর্পোরেশনকে জানানোর পরেও ওনারা তা গ্রহন করেননি। নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পরেই আমরা দুজনে মিলে আধুনিক নগর গড়বো’মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে বরিশাল কে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী স্মার্ট শহর হিসেবে জনগনকে উপহার দেবো ইনশাআল্লাহ । ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্ট হাউজে সরকারি সফরে বরিশালের নিজ সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের শুভ উদ্বোধন করতে আসলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বরিশাল সদর আসনটি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা। সিটি কর্পোরেশনের একজন মেয়র আছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আমার সংসদীয় এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার হলেও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেহেতু একজন মেয়র দায়িত্বে আছেন তার সহোযোগিতা ছাড়া সিটির উন্নয়নে কাজ করতে পারিনি। সংসদ সদস্য হিসেবে আমি শুধু তাকে সহায়তা করতে পারি যদি সে তা চায়। সিটি মেয়র সহযোগিতা না চাইলে এমপি হিসেবে নিজ থেকে উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতার সম্মূখ্যীন হতে হয়।

 

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন নগরীর ৭টি খাল খননের প্রকল্প নিয়েছিলাম, টেন্ডার দিয়েছিলাম, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারিনি অসহযোগিতা মূলক আচরণের কারণে। বরিশাল সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন করতে পারলেও বরিশাল সিটির নাগরিকদের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাদের ভোগান্তি লাঘবে কাজ করতে পারি নি। কেন পারিনি তা আপনারা ভালো জানেন। এ কাজ বাস্তবায়নে পুনরায় টেন্ডার দিয়েছি। নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পর পরই খালগুলো খননের কাজ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কারনে গত ৫ বছর নগরীতে যে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়েছে তা আগামীতে নতুন সিটি মেয়ররের সাথে মিলে করতে চাই। আগামীতে নির্বাচিত হলে মেয়রকে নিয়ে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বরিশাল গড়বো। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সততা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারনে ২ বছর তুলনা মূলক কাজ না হলেও আমার সংসদীয় এলাকার জনগনের কাছে খাদ্য সামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করিছি। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী’র দায়িত্ব প্রদান করেন যে কারনে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের কাজ সঠিক ভাবে পালন করতে দেশের প্রতিটি স্থানেই আমার যেতে হয়েছে এবং নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানের ভাঙন রোধে কাজ করে গিয়েছি।এরপরও প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইদিন করে আমি বরিশালে অবস্থান করে এখানকার জনগনের কথা সরাসরি শুনে তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করে আসছি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে এবং আমি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে, আমার সংসদীয় আসনের প্রতিটি সমস্যা গুলো সমাধান করবো।এখানকার প্রধান সমস্যা মাদক, সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি মুক্ত বরিশাল গড়বো। বরিশাল- ভোলার সড়কের কাজ সম্পন্ন করে ভোলার গ্যাস বরিশালে এনে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবো।   এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন নতুন মেয়র নির্বাচিত হবার পরে ইতিমধ্যেই করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় এলজিইডি থেকে ৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের তহবিলও চলে এসেছে। কিন্তু কাজ শুরু হবে ১৪ নভেম্বরের পর। এছাড়াও এলজিইডি থেকে পাঠানো বরিশালের উন্নয়নে ৬শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে আগামী মাস নাগাদ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিগত সময় বরিশাল সদর আসনে যারা সংসদ সদস্য ছিলো তারা গত ২৫ বছরেও সদরের কোন উন্নয়ন করেনি। গত সাড়ে চার বছরে করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও আমি প্রচুর উন্নয়ন করেছি। তিনি বলেন, কীর্তনখোলার ভাঙ্গন কবলিত চরবাড়িয়া এলাকা। যেখানে নদী ভাঙ্গনে দুটি শিশুরও প্রানহানি হয়েছিলো, সেখানে আজ খুশির জোয়ার। আতংকিত এই জনপদ এখন পর্যটন কেন্দ্র। এখানে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাধ করে ভাঙ্গন বন্ধ করা হয়েছে। আজ এখানকার মানুষ জীবন পেয়েছে, পেয়েছে জেবিকার সন্ধান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, চরকাউয়া, চরমোনাই ও লামচরিতে ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে এসব স্থানের ফিরবে প্রানের স্পন্দন। শায়েস্তাবাদের ভাঙ্গন বন্ধের কাজ শেষ হলে সদর উপজেলা হবে ভাঙ্গনমুক্ত।

 

তিনি বলেন, বাউফল ও বাকেরগঞ্জের ধুলিয়ায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বরিশাল অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন রোধ হবে। তিনি তার ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে আবেদন করে বলেন, আজ পর্যন্ত কেউ তার কাছ থেকে ফিরে যায়নি। মানুষের সাথে তিনি আছেন এবং থাকবেন। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বরিশাল তার দৃঢ অঙ্গীকার। তিনি বলেন, জনতায় রায় আবার পেলে বরিশাল সিটির নব নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত কে নিয়ে এবার উন্নয়নের মধ্যদিয়ে গড়বেন সমৃদ্ধির স্মার্ট বরিশাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন ...

এই বিভাগের আরো সংবাদ...
© All rights reserved © ২০২৩ স্মার্ট বরিশাল
EngineerBD-Jowfhowo