বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানাধীন গোমা ফেরীঘাটে মালবাহী ট্রাক বা লরিচাপায় এক গৃহবধূ নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার গোমা ফেরিঘাটের দুধল প্রান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর লরিচালক পালিয়ে গেলেও পুলিশ লরিটি আটক করেছে।
তবে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ট্রাক বা লরিটি প্রভাবশালী ঠিকাদারের হওয়ায় পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা লরি চালককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
নিহত গৃহবধূর নাম কান্তা মনি (২৪)। আহত হয়েছে তার স্বামী বিধান মন্ডল (৩৫) এবং কান্তার মা মমতা (৫৫)। নিহত কান্তা পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকার মিরপুরের দারুসসালামে থাকতেন। পুজার ছুটিতে তারা স্বপরিবারে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার তারা ঢাকায় ফেরার পথে এই দূর্ঘটনার শিকার হন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে সবাই যখন নিহত ও আহতদের নিয়ে ব্যস্ত সেই ফাঁকে ট্রাকচালক পালিয়ে যায়। তবে এটি বরিশালের মাহফুজ খানের ট্রাক। এখানে সড়কের কাজ চলছে, সেই কাজের মালামাল নিয়ে এসেছে এই ট্রাক বা লরিটা।
বাকেরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল হাই জানান, আহত বিধান মন্ডল তার স্ত্রী কান্তা ও শ্বাশুড়ি মমতাকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। বাকেরগঞ্জের দুধলের গোমা ফেরীঘাট থেকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা ফেরীতে উঠছিল। গ্যাংওয়ে অতিক্রমের সময় ফেরী থেকে একটি লরি (পিরোজপুর ই-৮১-০০০১) তীরে উঠছিলো। ওই লরিতে চাপা পড়ে মাথা চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই কান্তা নিহত হয় এবং তার স্বামী ও মায়ের পা ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কান্তার লাশ উদ্ধার করে এবং আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, দুর্ঘটনার পরই চালক পালিয়ে গেছে। তবে লরিটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান আব্দুল হাই।