বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রতিহত করতে বরিশাল নগরী ও জেলায় কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ ও র্যাব। এছাড়া হরতাল প্রতিহত করতে বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নিতে দেজখা গেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের।র্যাব-৮ এর টহল টিম পুরো বরিশাল সিটি এলাকা টহল দিয়েছে। পাশাপাশি বিএমপি পুলিশের সদস্যরা ছিল বেশ তৎপর।এদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে বাস-লঞ্চ চলাচলে কেউ বাধা দেয়নি।যাত্রী কম থাকায় বাস চলাচলও ছিল কম।লঞ্চেও একই অবস্থা।রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে নগরী ও জেলার কোথায় বিএনপি বা জামায়াতের মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। বরিশাল নদী বন্দর থেকে জেলার আভ্যন্তরীণ ও জেলার বাইরের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল করেছে। তবে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে যাত্রী কম বলে জানিয়েছেন বরিশাল থেকে ভোলাগামী সোহাগী-১ লঞ্চের মাস্টার নয়ন। তিনি বলেন, দূরপাল্লার বাস চলাচল কম থাকায় যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে অফিস সময়ে যাত্রী ছিল। এদিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে আভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলতে দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় কিছুটা দেরিতে এবং কম বাস ছাড়া হয়েছে। সকালে আভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও কাউন্টারগেুলো খোলা ছিল।বিআরটিসির বাসগুলো স্বাভাবিক সময়ে ছেড়ে গেছে। অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও সংখ্যায় কম।অপরদিকে বেলা বাড়ার সথে সাথে দোকানপাট খুলতে শুরু করার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, ব্যাংক, অফিস-আদালত যথানিয়মে শুরু হয়েছে।তবে নগরীর মধ্যমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বড় বড় বিপনি বিতান ও শোরুমগুলো অধিকাংশই ছিল বন্ধ।এদিকে বিএনপি ও জামাতের নৈরাজ্য, সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিসিসি’র নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এর নির্দেশনায় নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করেছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ। পরে নগীরর বিভিন্ন সড়কে মটরবাইক নিয়ে মহড়া প্রদর্শণ করে।অপরদিকে হরতাল উপলক্ষে নগরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে পুলিশ সদস্যদের মোতায়েনের পাশাপাশি সড়ক-মহাসড়ক ধরে র্যাব-পুলিশের টহল দেখা গেছে। বিএনপির ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ, (গোয়েন্দা) পুলিশ শহরের নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতয়ালী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন।তিনি বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সবকিছু নজরদারির মধ্যে আছে।