বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ( বিসিসি’র ) মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেও এখানো দায়িত্ব গ্রহন করেনি। চলতি পরিষদের মেয়াদ কাল শেষ হবার বাকী মাত্র কয়েকটা দিন।চলতি বছরের আগামী মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর নবনির্বাচিত মেয়র তার পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি’র) দায়িত্ব গ্রহণ করবেন নব-নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। তার সাথেই বিসিসি’র নবনির্বাচিত ৩০ টি ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলররাও একই দিন তাদের দায়িত্ব গ্রহন করবেন। এ নিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নবনির্বাচিত মেয়রকে বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানায়, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পুরাতন তিনতলা ভবনটির পেছনের অংশের অনেকগুলো ভিমে ফাটল ধরেছিল, সেই সঙ্গে নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত অনেক জায়গার পলেস্তারা খসে পড়েছিল। ফাটল ধরা ভিমের কাজে এখনও হাত না দিলেও খসে পড়া পলেস্তারার স্থানগুলো কোনো রকম সংস্কার করে রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। আবার তিনতলার কনফারেন্সরুমও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল তাও সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সংস্কার কাজ মূলত করিডোর ও খোলা জায়গাগুলোতে হচ্ছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো কক্ষের ভেতরের অংশতেই এখনও কাজ শুরু করেনি, সামনে করবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। যদিও মেয়র ব্যতিত কাউন্সিলরদের কক্ষসহ বেশকিছু কক্ষের ভেতরের আসবাবপত্র বাইরে এনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, প্রতিবারই নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার আগে নগর ভবনে কিছুটা সাজসজ্জার কাজ করানো হয়। এরই অংশ হিসেবে এ কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারো নতুন পরিষদের মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহনের দিনে নগরভবনে সাজসজ্জার সহ যাবতীয় সকল প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব বলেন, গেট মেরামত, রং করাসহ ও ক্ষুদ্র কাজগুলো সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে করানো হচ্ছে। অর্থাৎ এর অর্থ সিটি করপোরেশনই বহন করবে। তবে কত টাকা ব্যয়ে এ সংস্কার করা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি।
এদিকে নগর ভবনের সভাকক্ষসহ বেশ কিছু জায়গার জরাজীর্ণ অবস্থার ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়লে, তা নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। সেই সঙ্গে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ ও আহসান হাবিব কামালের সময় ব্যবহৃত সাদা রংয়ের গাড়িটি এখনও পর্যন্ত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।