এম.এস.আই লিমনঃ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ৩০ টি ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বরিশাল ৫ আসন। প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোটার রয়েছে এ আসনটিতে। জাতীয় সংসদের ১২৩ নম্বর বরিশাল সদর আসনটিকে গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদার আসনও বলে থাকেন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। সংসদ কিংবা স্থানীয় নির্বাচন আসলেই এই আসনটিতে রাজনৈতিক দলসমূহের প্রার্থীদের আনোগোনা বেড়ে যায়। অতীতে এই প্রবণতা আওয়ামী লীগ-বিএনপি সহ সব দলে লক্ষ্যণীয় থাকলেও এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিন্ন এক চিত্র দৃশ্যমান। দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের একটি বিএনপি সহ কয়েকটি দল ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় এখন বরিশালের রাজনৈতিক আলোচনায় শুধু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির এবং কাকে করা হচ্ছে নৌকার মাঝি।
বর্তমানে এই গুরুত্বপূর্ণ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি প্রায় সাড়ে চার বছর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আসীন থেকে দেশের সমস্ত নদীভাঙন কবলিতদের পাশে থেকেছেন, বাদ যায়নি তাঁর আসনের বাসিন্দারাও। বরিশালের নদীভাঙন রোধ করাসহ বেশ কিছু স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তিনি প্রসংশাও কুড়িয়েছেন। অবশ্য এনিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সহ বিরোধী দল এবং রাজনৈতিক মহল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে তার আলোচনা শোনা যায়। আবার এমনও খবর পত্র-পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে যে সফল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকায় জাহিদ ফারুকের নামটি স্থান পেয়েছে তার নিজ কর্ম গুনেই।
আওয়ামী লীগের অবস্থান পাকাপোক্ত করা জাহিদ ফারুক শামীমের বরিশাল সদর ৫ আসনটিতে আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নমিনেশন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন সদ্য অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন বিসিসি’র পঞ্চম পরিষদে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত সদ্য সাবেক মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ অন্তত ১০ জন। তাদের সকলে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদার এই আসেন নৌকার মাঝি হতে চাইছেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চুলচেড়া বিশ্লেষণ চলছে। যদিও এই আলোচনা ছাপিয়ে গিয়েছিল, বরিশাল ৫ আসনে কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়টি। যদিও তিনি বরিশাল সদর আসনে মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় খোলসা করেছেন এবং বলছেন, অতি শুভাকাঙ্খি কেউ ফরমটি সংগ্রহ করেছেন। পরিশেষে জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার ১৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ফলে বরিশাল ৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী রইলেন বর্তমান এমপি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি , সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, মো. মশিউর রহমান খান, মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (আরিফিন মোল্লা), শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক সাবেক বরিশাল সিটি করপোরেশন বিসিসি’র ২০ নং ওয়া্রড কাউন্সিলর এস এম জাকির হোসেন, শিল্পপতি সমাজসেবক সালাউদ্দিন রিপন এবং অ্যাডভোকেট মোর্শেদা বেগম। শোনা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় টিকিট পেতে যে যার মতো করে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে লবিং-তদ্বিরও চালিয়ে যাচ্ছেন।
এনিয়ে বরিশালের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে সরব আলোচনা শোনা যায়। এসব আলোচনায় বেশি মাত্রায় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এবং অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদায়ী সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে। স্থানীয় রাজনীতিকে কেন্দ্র করে জাহিদ ফারুকের সাথে
সাদিক আব্দুল্লাহ’র মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। পাশাপাশি উভয়ের আছে দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক বলয়। ফলে অন্য সকলের চেয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা-প্রাপ্তির হিসেবে তারাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে।
আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড আগামী শুক্র বা শনিবারের মধ্যে বরিশাল ৫ এই বিভাগের ২১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। ইতিমধ্যে রংপুর এবং রাজশাহীর ৭২ সংসদীয় আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে দলটি। ফলে সকলের দৃষ্টি এখন ঢাকায়, অপেক্ষা কী আসে সিদ্ধান্ত। যদিও জাহিদ ফারুক এমপি -সাদিক আব্দুল্লাহ উভয়ে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, বরিশাল ৫ আসনে যিনি হবেন নৌকার প্রার্থী, তাকে বিজয়ী করতেই কাজ করবেন। মনোনয়ন প্রত্যাশা-প্রাপ্তি নিয়ে দুই নেতার অনুসারী এবং কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পক্ষ-বিপক্ষ নানান মন্তব্যে নতুন নতুন আলোচনা জন্ম দিচ্ছেন। সাদিক অনুসারীদের দাবি, তাদের নেতাই হচ্ছেন বরিশাল ৫ আসনে নৌকার মাঝি। জাহিদ ফারুকের অনুসারীদেরও দাবি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্বচ্ছ ইমেজের সৎ দক্ষ সুশিক্ষিত পরিচ্ছন্ন ক্লিন ইমেজের এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিকল্প নেই। একই কথা প্রকাশ্যেই বলে জাহিদ ফারুক এমপি র পক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন নবনির্বাচিত বরিশাল সিটি করপোরেশন বিসিসি’র মেয়র বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের খোকন আব্দুল্লাহ সেরনিয়াবাত।
অবশ্য বরিশাল সদর আসন ৫ অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ন মর্যাদার এই আসনে কে হচ্ছেন নৌকার কাণ্ডারী এনিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের কারও মন্তব্য পাওয়া না গেলে কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তিনিই হয়তো শুক্রবার বা শনিবার এ আসনটির প্রার্থী চূড়ান্ত করে ঘোষনা করবেন।
সূত্রটি আরও জানায়, বরিশাল সদর ৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম, সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রমকে ঘিরে আলোচনা বেশি হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বরিশাল সদর ৫ আসনটি নিয়ে জটিল সমীকরণ রয়েছে, কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম বর্তমানে এখানের এমপি হলেও সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সহ তার অনুসারী সকলেই মনোনয়ন চেয়েছেন তাকে চাপে ফেলতে।যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মুখ খুলছেন না।
একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বরিশাল সদর আসনটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ, সেখানে ৯ জন মনোনয়ন চাইছেন। কিন্তু টিকিট পাবেন একজন, নাম দলীয় সভানেত্রী ঘোষণা করবেন। তবে এটা বলা যায়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বর্তমান এমপি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সহ আরও দু একজনের নাম থাকাটা অস্বাভাবিক নয় ।
এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশা-প্রাপ্তি নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম-সেরনিয়াবাত সাদিকের কেউই কোনো মন্তব্য করছেন না। তাঁরা উভয়ে বলছেন,দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দেবেন, তিনিই হবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল সিটির চতুর্থ পরিষদের মেয়র ছিলেন। সিটি নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হলে তাঁর আপন চাচা আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ভোটে মেয়র নিবাচিত হন। জানা গেছে, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং পূর্ব প্রতিশ্রুতির আলোকে মেয়র খোকন বরিশাল ৫ আসনের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের পক্ষালম্বন করেছেন। এমনকি জাহিদ ফারুকের মনোনয়ন ফরমটি জমা দেওয়ার সময়েও তিনি দলীয় কার্যালয়ে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন। বিপরীতে সাদিকের মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলছেন, কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ এবং ক্ষমতার প্রায় সাড়ে চার বছর তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সাথে কাজ করেছেন। বরিশাল সহ সারাদেশে তার সুনাম রয়েছে, বিশেষ নদীভাঙন কবলিতদের কাছে তিনি আর্শিবাদস্বরুপ। এছাড়া নিজের সংসদীয় আসন বরিশাল সদর ৫ আওতাধীন এলাকাসমূহের উন্নয়নে জাহিদ ফারুক শামীমের যথার্থ ভূমিকা রেখে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সহ জনসাধারণের কাছে প্রসংশিত হয়েছেন। পক্ষান্তরে সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কম আলোচিত নন, গত ৫ বছরে দায়িত্ব পালনকালে শহর উন্নয়নে ব্যর্থতাসহ নানান বিতর্ক সৃষ্টির কারনে ফের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও এনিয়ে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের মনে নানান নেতিবাচক প্রশ্ন রয়েছে।
এই দুইজনের বাইরে আলোচনায় আছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রম। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মাহাবুবু উদ্দিন এর আগে বরিশাল থেকে একাধিকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে একাধিক বার অংশগ্রহণ করে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার। সারা বছর তাকে রাজনৈতিক কোনো কর্মকান্ডে না দেখা গেলেও নির্বাচন পূর্বাপর কিছু দিন তিনি বরিশালে থাকেন এবং প্রার্থীতা পেতে দৌড়ঝাপ করেন। এবারও মাহাবুব উদ্দিন বরিশাল ৫ আসনে প্রার্থী হতে চাইছেন। এছাড়া আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী বরিশাল সিটি করপোরেশন বিসিসি’র ২০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসএম জাকির হোসেনও আলোচনার মধ্যে আছেন, তিনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক। তিনি তার প্রার্থিতার কথা জানান দিয়েছেন এক বছর আগে এবং তিনি বরিশাল সদর ৫ আসনের প্রার্থী হতে শহরসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে সভা সমাবেশও করেছেন।
এই সব আলোচনা অবসান কাল বা পরশু ঘটতে যাচ্ছে। দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করবেন কে হবেন বরিশাল সদর ৫ আসনে র নৌকার মাঝি। যদিও শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে কয়েকটি জনসভায় বক্তব্যে বলেছেন, স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় এবং ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিককে আওয়ামী লীগ মনোনীত করবে। তাহলে চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশাল সদর আসনের একমাত্র আলোচনায় উঠে এসেছে এখন প্রশ্ন শেখ হাসিনা বা তার আঃলীগের মনপুত ব্যক্তি বর্তমান সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল(অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম না-কী গেলো সিটি কর্পোরেশন বিসিসি’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ.!
দলীয় হাইকমান্ডের বিবেচনায় বরিশাল সদর ৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কার নাম ঘোষণা করা হচ্ছে আর কার পক্ষে আসছে বছরের ৭ জানুয়ারি রায় দেবেন জনতা। অবশ্য এই প্রশ্নে উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে প্রার্থিতা ঘোষণা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার আগ পর্যন্ত।
এদিকে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কর্মী সহ বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিবেন।আর আমরা নৌকার বিজয় উপহার দিতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখান কার জনগনের প্রিয় নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম ভাই কে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী করা হলে আমরা দুই ভাই মিলে বরিশাল সদর আসনের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে বরিশালকে টেকসই আধুনিক সমৃদ্ধশালী স্মার্ট নতুন বরিশাল হিসেবে গোটা দেশের মধ্যে এগিয়ে রাখতে পারবেন বলেও আশাব্যক্ত করেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্তে যাকেই মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দিক না কেনো আমরা বরিশাল বাসী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার পক্ষে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ।