কবরের ঘাষ খাওয়ার অপরাধে বিদায়ী মেয়রের নির্দেশে আটক কৃত ছাগলের এক বছর সাঁজা খেটে বের হবার ঘটনার খবর এখন টক অফ দ্যা সিটিতে পরিনত হয়েছে।
এক বছর আগে বরিশাল সিটির ২১ নং ওয়ার্ডের মুসলিম গোরস্তানের গেইট খোলা পেয়ে ঘাসপাতা খেতে ঢুকে পড়ে রাজিব নামের এক তরুন উদ্যোক্তার ১৫ টি ছাগল।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক বছর পর আইনানুযায়ী তরুন উদ্যোক্তা রাজিবের কাছে ছাগল হস্তান্তর করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিসিসি কতৃপক্ষ।
তরুণ উদ্যোক্তা শাহরিয়ার সাচিব রাজিব জানায় করোনার পরপর ই অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয় এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘড়ে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হয়ে সাবলম্বী হবার বিষয় বললে তিনি প্রধানমন্ত্রী ‘র কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্ত্রী সহ নিজের শেষ পুজি দিয়ে উন্নত প্রজাতির বেশ কিছু ছাগল কিনে নিজ বাড়ির উঠানে স্বল্প পরিসরে খামার করা শুরু করে এবং স্বল্প সময়ে ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে তার ছাগলগুলো তার অনুপস্থিতিতে গোরস্তানের গেইট খোলা পেয়ে ঢুকে যায়। এরপর সিটি কর্পোরেশন এর সিকিউরিটি গার্ড রা টেনে হিচছে তার ছাগল গুলো বন্দী করে নিয়ে যায়। আমি অনেক কাকতী মিনতী করলেও কোন কর্নপাত না করে সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ র নির্দেশনায় নেয়া হচ্ছে বলে জানায়।এরপর একাধিক বার সিটি কর্পোরেশন কতৃপক্ষ কে তার ছাগল ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করলেও কোন রকমের সাহায্য তো করেই নি বরং উল্টো তার ছাগল দিয়ে বারবিকিউ পার্টি করবে মেয়র এমনটাই বলে কোন সুরহা করেনি নগর ভবনে প্রশাসনিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা।
এক বছর আগে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র নির্দেশে নগরীর তরুন উদ্যোক্তা শাহরিয়ার সাচিব রাজিব এর উন্নত প্রজাতির ১৫ টি ছাগল আটক করে নিয়ে যায়। ছাগলের দোষ হিসেবে বিনানুমতিতে নগরের মুসলিম গোরস্তানে গেইল খোলা পেয়ে ছাগল ঢুকে ঘাষ পাতা খাওয়ার অপরাধ উল্লেখ করে তৎকালীন দায়িত্ব শীল প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কতৃপক্ষ মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এর নির্দেশনায় আইনানুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আটককৃত ছাগলের মালিকের নিকট ছাগলগুলো হস্তান্তর করে বলে জানায় প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মোঃ আলমগীর হোসেন ও রোড ইন্সপেক্টর আর আই মোঃ রেজাউল কবির,ও ইমরান হোসেন খান রাজিব।
আইনানুযায়ী প্রানী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ছাগল গুলো এক দিনের বেশী আটক করে রাখার কোন বিধান না থাকলেও জোড় পূর্বক ছাগল গুলো বন্দী করে রাখে সাবেক মেয়রের নির্দেশে বলেও জানান তৎকালীন সময়ের দায়িত্ব শীলরা।
এ ছাড়াও অভিযোগ আছে, বন্দি অবস্থায় কয়েকটি ছাগল বাচ্চা দিয়েছে। এরইমধ্যে, অযত্নে আর অবহেলায় বেশ কয়েকটি বাচ্চা মারা যায়। ছাগলগুলো আটকের পর থেকে সিটি করপোরেশন সহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও ফিরে পায়নি ছাগলগুলো।
অবশেষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নজরে আসে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এর। পরে তরুন উদ্যোক্তা রাজিবের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুসারে মেয়রের নির্দেশনায় ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিসিসি কর্তৃপক্ষ আটককৃত গবাদি পশুগুলো মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলেও জানান তরুন উদ্যোক্তা শাহরিয়ার সাচিব রাজিব।
হস্তান্তরকালে বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, রোড ইন্সপেক্টর রেজাউল কবির ও ইমরান হোসেন খান রাজিব উপস্থিত ছিলেন।