এম.এস.আই লিমনঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ’ সংসদীয় আসনে নৌকার কান্ডারি কারা হবেন তা ঠিক করবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড।আজ রবিবার আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়নের সোনার হরিণ কারা পাচ্ছে তা ঘোষণার অপেক্ষায় গোটা দেশের জনগণ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা চলেছে তিন দিন যাবত। গত তিন দিনের বৈঠক শেষে সকল বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন শুধু প্রকাশ করা বাকি যে, কোন বিভাগের কোন আসনে নৌকার কান্ডারির দায়িত্ব কারা পেলেন।
সূত্র জানায়, অন্যবারের মতো এবারও প্রার্থীদের ‘আমলনামা’ বিশ্লেষণ করে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এর আগে দলের বর্ধিত সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমার নিজের হিসাব-নিকাশ আছে। আমার একটা ধারণা আছে। আমরা সার্ভে করি। রিপোর্ট নিই। কার অবস্থান কতটা- সেটা বুঝে কিন্তু আমরা মনোনয়ন দেই।তফসিল ঘোষণার পর পরই মাঠে নেমে পড়েছে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ। উৎসবমুখর পরিবেশে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক পরিক্রমায় যুক্ত হয় দলটি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় ঐতিহ্যবাহী দলটির সমর্থক যেমন বেড়েছে তেমনি প্রার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে আসনে আসনে। সেই সমিকরণের বাইরে নয় বৃহত্তর বরিশাল বিভাগ। ৬ জেলা নিয়ে গঠিত এই বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ২১টি। এসব আসনে নৌকার মাঝি হতে ২৫৮ জন নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন মনোনয়ন ফরম বিক্রির বরিশাল বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার।এসব নেতাকর্মীর মধ্যে ২৫৭ জনই দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম জমা দিয়েছেন। ব্যতয় শুধু বরিশাল সদর আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেও তা জমা দেননি প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।দলীয় সূত্র জানিয়েছে, মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে ইতোমধ্যে বোর্ডের দুই দফায় বৈঠক হয়েছে। যেখানে সভাপতিত্ব করেছেন দলের সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বরিশাল বিভাগে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন তার চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হলেও আজ রোববারের আগে প্রকাশ করা হচ্ছে না। দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রকাশ না করা হলেও বিভাগের ২১ আসন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে রয়েছে। কে পাচ্ছেন আর কে পেতে পারেন না তা নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ চলছে রাজনৈতিক মহলে।বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে নানান গুঞ্জন হচ্ছে। এই গুঞ্জন হওয়াটাই স্বাভাবিক। মানুষ নির্বাচনমুখি এবং আসন্ন নির্বাচন স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মূলক হবে তার ইঙ্গিত সাধারণ মানুষের এই গুঞ্জনেই প্রতিফলন হয়।তিনি বলেন, কে মনোনয়ন পাচ্ছেন আর কে পাবেন না তার সিদ্ধান্ত একান্তই নেত্রীর। মনোনয়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।রাজনৈতিক দিক দিয়ে অতিগুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে ৯ জন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন যারা দলের নীতিনির্ধারণী হিসেবে বিবেচিত। বিগত দিনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে দলের মতো নিজ নির্বাচনী এলাকায়ও অবস্থান পাকাপোক্ত করে রেখেছেন তারা। এ কারণে নেতাকর্মীদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে হেভিওয়েট ৯ প্রার্থীর আসনে বিকল্প কেউ আসছে না। যদিও সেই সব আসনে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে অনেকে মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন।শুধুমাত্র বরিশাল-১ আসনে প্রধানমন্ত্রীর ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ একক প্রার্থী।
এছাড়া অন্য ৯ জনের বিপরীতের নৌকা প্রতীকের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে ৯৩ জন নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন।তারপরও ঝালকাঠি ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, ভোলা ১ আসন থেকে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা ২ আসন থেকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, পিরোজপুর-১ আসনে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম, পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সাবেক চিপ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বরিশাল ৪ আসন থেকে আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাম্মী আহমেদ, বরগুনা-১ আসন থেকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বহাল থাকছেন।
১২ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে যারা- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রয়ী কাযনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিচুর রহমান বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম জমা নেওয়ার পরে শনিবার বিকেল পর্যন্ত বোর্ডের সভা চলছে এবং চূড়ান্ত করা হয়েছে। যারাই মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছেন তাদের সকল তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ৩০০ আসনের জন্য যোগ্য এবং এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন নেত্রী। প্রতিটি আসনে যারা যোগ্য তাদেরই বাছাই করা হয়েছে।অর্থাৎ বরিশাল বিভাগে হেভিওয়েটদের জন্য ৯টি আসন বিবেচনার পর বাকি ১২টি আসনে তুলনামূলক জনপ্রিয় এবং স্বচ্ছ নেতৃত্ব মনোনীত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা সম্ভাব্যদের নাম জানতে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন সমীকরণে কয়েকটি আসনে রদবদল হলেও অধিকাংশ আসনে পুরানো মুখেরই সম্ভাব্যতা ধরে নেওয়া হচ্ছে।বরিশাল জেলায় ৬টি আসন। এর মধ্যে বরিশাল ১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় নিশ্চিত মনোনয়ন পাচ্ছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।
এছাড়া বরিশাল-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহে আলমের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকায় মনোনয়ন হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসের হাতে। বরিশাল-৩ আসনে তুলনামূলক নাজুক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপন পাচ্ছেন।যদিও এই আসনটি মহাজোটকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে। বরিশাল ৪ আসনে বির্তকে জড়িয়ে পদ হারানোর পর এবার মনোনয়ন হারাচ্ছেন সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলে জোর গুঞ্জন চলছে। তার আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ পাচ্ছেন। বরিশাল ৫ আসনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম থাকছেন। যদিও মনোনয়ন পেতে জোর তদ্বির চালাচ্ছেন সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।তবে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান জনপ্রিয় সাংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল(অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এর উপরই আস্থা রাখছেন আওয়ামী লীগ। এমন খবর কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে।
একাধিক ফেইসবুক ইউজার তাদের নিজস্ব একাউন্টে পোস্ট করে উল্লেখ করেছেন, ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে কর্নেল(অবঃ)জাহিদ ফারুক শামীম কে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনায় নেয়া হবে।জাহিদ ফারুক শামীম কে ২০০৮ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনায়ন দেয়া হয় এই আসন থেকে, তবে ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ারের কাছে মাত্র ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।স্বাধীনতার পর থেকে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি। তবে ২০১৮ সালে মজিবুর রহমান সরোয়ারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনায়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল(অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম ।
পরে তাকে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে সারাদেশে এ মন্ত্রনালয়ের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মজজ্ঞের পাশাপাশি যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন বরিশালের তৃণমূল আওয়ামী লীগ তথা তার সংসদীয় আসনের সাধারন মানুষের সাথে। তারই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের কাছে এক আস্থার জায়গায় পরিনত হয়েছেন কর্নেল(অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি নির্বাচনে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে সাদিক আব্দুল্লাহ দলীয় মনোনায়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনে বিভিন্ন ভাবে বাঁধা বিঘ্ন ঘটিয়েও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের দক্ষ নেতৃত্বে বিভিন্ন দিকনির্দেশনায় খোকন সেরনিয়াবাত বিপুল ভোটে বিজয়ী হন, যার ফলশ্রুতিতে নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে জাহিদ ফারুকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাহিদ ফারুককে দেখার দাবী জানান।
সকল নেতাকর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে ক্লিন ইমেজের জাহিদ ফারুক শামীমকেই এ আসনের ফের নৌকার মাঝি করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা।বরিশাল ৬ আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) হাফিজ মল্লিক। এই আসনটিতে জাতীয় পার্টির আধিপত্য থাকলেও এবার ছাড় দিতে নারাজ বলে মনে করেন কর্মীরা।পটুয়াখালী জেলায় চারটি আসন। এর মধ্যে ১ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন। পটুয়াখালী-২ আসনেও মোটামুটি নিশ্চিত হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক চিফ হুইপ বর্তমান সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। পটুয়াখালী- ৩ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. মহিব্বুর রহমান। যদিও তার বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না নেতাকর্মীরা। বেশ কিছু বির্তকিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় আলোচনায় রয়েছে সাবেক এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহাবুবুর রহমান তালুকদারও।বরগুনা জেলায় দুটি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে বরগুনা ১ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী টানা ৬ বারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু মনোনয়ন পাচ্ছেন নিশ্চিতভাবে।
বরগুনা-২ আসনে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেতে পারেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা। তিনি বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম গোলাম সবুর টুলুর সহধর্মিনী। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমুর নিকটাত্মীয়ও তিনি।ঝালকাঠি জেলায় দুটি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে ঝালকাঠি ২ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন আমির হোসেন আমু। তার বিপরীতে ১ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও দলের নীতিনির্ধারণী বর্ষীয়ান এই নেতা মনোনয়ন পাচ্ছেন নিশ্চিতভাবেই। এছাড়া ঝালকাঠি ১ আসনে মোট ৩ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন মনোনয়ন দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে।ভোলা জেলায় চারটি সংসদীয় আসন। এরমধ্যে দুটিতে হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করায় সেই দুটি মোটামুটি নিশ্চিত হচ্ছেন।
এরমধ্যে ভোলা ১ আসনে বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং ভোলা ২ আসন থেকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। যদিও ২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলও বেশ আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া ভোলা-৩ আসনে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং ভোলা-৪ আসনে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের মনোনয়ন বহাল থাকছে।পিরোজপুরে তিনটি সংসদীয় আসন। এরমধ্যে পিরোজপুর-১ আসনে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম অনেকটা নিশ্চিত। যদিও তাকে ঠেকাতে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান মহারাজ এই চারভাই মনোনয়ন সংগ্রহ করে জোর তদ্বির চালাচ্ছেন।
পিরোজপুর-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস এবং পিরোজপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান। যদিও পিরোজপুর-২ এবং পিরোজপুর-৩ আসন দুটি যথাক্রমে জাতীয়পার্টি-জেপি (মঞ্জু) ও জাতীয়পার্টি-জাপা (এরশাদ) এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধ নির্বাচন করার গুঞ্জন রয়েছে। সেক্ষেত্রে এ আসন দুটি থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থিতা না দেওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।