এসময়ে তাঁর নগদ অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা হয়েছে।
গত পাঁচ বছরে কোটিপতি হয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে তার সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। এসময়ে তাঁর নগদ অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সাদিক আব্দুল্লাহ’র হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাদিক। তিনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সাদিক বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বরিশাল-১ আসনের প্রার্থী আবুল হাসান আব্দুল্লাহ’র ছেলে। সাদিক ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচিতও হন। তবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁকে এ বছরের সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাঁর চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন পান ও মেয়র নির্বাচিত হন।
২০২৩ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সাদিক আব্দুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, তিনি মৎস্য চাষী ও রাখি মালের ব্যবসায়ী। তার কাছে নগদ রয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা। বাড়ি ভাড়া থেকে আয় হয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। নিজ পেশা থেকে আয় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মেয়র সম্মানী ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা। শেয়ার ডিবেঞ্জার ২ লাখ টাকা। ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার অকৃষি জমি ও গুলশানের নিকেতনে একটি আবাসিক ফ্ল্যাট যার মূল্য ১০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে সাদিকের স্ত্রী লিপি আব্দুল্লাহর নামে কোনো সম্পদ না দেখালেও নিজ মুখেই বলেছিলেন আমেরিকায় বাড়ি থাকার কথা,
নির্বাচনের হলফনামায় অবশ্য সে বিষয় উল্লেখ করে নি । তার স্ত্রী র নামে কোনো সম্পদ না থাকলেও– ৫ বছরের ব্যবধানে স্ত্রীর নামে সম্পদ হয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণ এবং ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৬৫ শতাংশ অকৃষি জমি।