জয়ী হয়েই সোমবার সকালে জাহিদ ফারুক ছুটে গেলেন বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে বিক্ষিপ্ত সহিংসতায় আহতদের খোঁজখবর নেন জাহিদ ফারুক। হাসপাতালে তিনি শুধু নিজের লোকদেরই নয়, প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের আহত কর্মী সমর্থকদেরও খোঁজখবর নেন এবং তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেন। এ ঘটনায় বরিশাল সদর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মাঝি জাহিদ ফারুকের উদারতা আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি যে দলমত নির্বিশেষে বরিশালের প্রতিটি মানুষের নেতা তা আবারও প্রমাণ করলেন জাহিদ ফারুক।
৭ জানুয়ারীর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
দলমত নির্বিশেষে বরিশাল ৫ সদর আসনের ভোটাররা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে জয়ী করেছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৭৭০৬ এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের সালাউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ৩৫৩৭০ ভোট।
জাহিদ ফারুক ২০১৮ সালে প্রথম বরিশাল ৫ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সাথে গত পাঁচ বছর নিজ এলাকাসহ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। বরিশালে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় যার প্রশংসা করেছেন সয়ং প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের পর করোনা মহামারীর কারণে দুটো বছর বন্ধ্যা সময়েও তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের আনাচকানাচে। নিজেও তিনি করোনাক্রান্ত হয়ে জীবন ঝুঁকিতে ছিলেন দীর্ঘদিন। সুস্থ হয়েই জাহিদ ফারুক বরিশাল সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের অবহেলিত জনপদে ছুটে যান, চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠীতে সড়ক সেতু নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে চরকারঞ্জী হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ছুটে যান টুঙ্গিবাড়িয়ার পতাং সহ আশপাশের চাঁদপুরা, চন্দ্রমোহন ও চরবাড়িয়া ইউনিয়নে। চরকাউয়া ও চরবাড়িয়ায় নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন জাহিদ ফারুক। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম মানুষের চোখে স্বপ্ন হাসে এখন। বাণিজ্যিক বরিশালের স্বপ্ন নিয়ে জাহিদ ফারুক নগরীর উন্নয়নের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিলেও তা ব্যর্থ হয় সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর অসহযোগিতার কারণে। ১২ জুনের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেই অবিশাপ মুক্ত হয় বরিশালবাসী। আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে নতুন মেয়র বানিয়ে হেসে ওঠেম ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার ৬২ হাজার পরিবার। নতুন বরিশাল, জয় হাসিনার – শ্লোগানে মুখরিত বরিশালে আবারও রাহুর করাল থাবা নামে ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘীরে। দলীয় মনোনয়নে নৌকা জাহিদ ফারুক পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সদর আসনের নির্বাচন ঝুঁকিতে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও তার সমর্থকরা। ১৮ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের শেষ মুহুর্তেও বরিশালে ছিলো চাপা উত্তেজনা এ নিয়ে। দ্বৈত নাগরিকত্ব জটিলতায় ২ জানুয়ারী মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ক্ষিপ্ত সাদিক আব্দুল্লাহ এর সাথী অনুসারীরা প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের পিঠে চড়ে নির্বাচন বানচালের পায়তারা চালান। তবে জনগণের সমর্থন পুরোটাই স্পষ্ট হয় ৭ জানুয়ারী ভোটের মাঠে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন জাহিদ ফারুক শামীম এমপি
আর এ জয় সাধারণ মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দাবী করে জাহিদ ফারুক বলেছেন, এতোদিন বরিশালের বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন করতে পারলেও নগরীতে পারিনি। এবার আমার প্রথম কাজ হবে নগরীর অনুন্নত এলাকাগুলোর উন্নয়ন। একইসাথে চলমান অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে বলে জানান জাহিদ ফারুক।