পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর ৫ আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি’র উদ্যোগে শুক্রবার ১ মার্চ সকাল ৯ টায় বরিশাল জিলা স্কুল এর সামনে থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণের আয়োজনে ৬ টি বাসে ভ্রমণ করতে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় বরিশাল নগরীর সদররোডস্থ সার্কিট হাউসের বিপরীতে বরিশাল জিলা স্কুল স্কুলের সামনে থেকে তৃতীয় পর্যায়ে ৩০০ জন শিক্ষার্থী ৬ টি বাস যোগে পদ্মা সেতু দেখতে যায়। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ করে দেওয়ায় খুশি বরিশাল জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা।এমন উদ্যোগ নেওয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থী সহ তাদের অভিবাবকরা।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু ভ্রমণ আয়োজনের উদ্বোধন নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে ৩০টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষ অর্থাৎ যাদের সামর্থ্য নেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে দেখার তাদের নিয়ে যাওয়া হবে পদ্মা সেতুতে। প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে বৃদ্ধদের প্রাধান্য দিয়ে ৩শ জন করে পদ্মা সেতু ভ্রমণে নেওয়া হবে। প্রথম দিনেই ৬টি বাসে ৩শ জন পদ্মা সেতু ভ্রমনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। যাদের খাবার খরচ থেকে শুরু করে সব কিছুই বহন করবেন আয়োজক।
পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, এতদিন টিভি মোবাইলে পদ্মা সেতু দেখেছি। তবে এবার নিজ চোখে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া বেশ খুশি ও আনন্দিত আমরা। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দিবেন বলেছিলেন৷ আজ আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণ করতে যাচ্ছি আমরা খুবই আনন্দিত।
সৌরভ বলেন, বন্ধুদের সবাইকে নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছি।
এরআগে ৭ টি বাসে ৪০০ শিক্ষার্থীকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণ করিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী র উদ্যোগে।
এই ভ্রমনের আয়োজক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, এদিকে যে সেতু নির্মাণের কারণে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে সেই সেতু দেখার সুযোগ আমাদের অঞ্চলের অনেকেরই হয়নি। পদ্মা সেতুর কারণে সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে বরিশালের মানুষ। আর এই অঞ্চলের যাদের পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার সামর্থ্য নেই তাদের পদ্মা সেতু ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিয়েছি আমি। ১২ সহস্রাধিক মানুষ এই সুযোগ পাবে। বিশেষ করে বৃদ্ধ পুরুষ মহিলাদের পদ্মা সেতু দেখানোর জন্য গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। বাঙালির গর্ব অহংকার ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক পদ্মা সেতু দেখানোর এই আয়োজন নিম্ন আয়ের এসব মানুষের মনে তৈরি করবে নতুন স্বপ্ন। যে স্বপ্নে ভর করে পদ্মা সেতুর মতো মাথা উঁচু করে বাঁচার সাহস জাগবে তাদের মনে।