ইসলাম ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির কারনে ৪ এপ্রিল থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ৬টি করে বিলাসবহুল লঞ্চ চলবে। ইতোমধ্যে আগাম টিকেট বিক্রিও শুরু হয়েছে। এর ফলে ঈদের ছুটিতে চাঙ্গা হচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম লঞ্চ সার্ভিস। লঞ্চ মালিকরা দাবী করেছেন, যাত্রী খড়া কাটাতে এবার ভাড়া বাড়ছে না। এদিকে ঈদ উপলক্ষে যাত্রী সেবা নিশ্চিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
লঞ্চ মালিক সমিতির সহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতুর কারনে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। এই ঈদে যাত্রীদের আকৃস্ট করতে এবার ভাড়া বাড়াচ্ছেন না তারা। ডেকের ভাড়া সরকারিভাবে ৪শ টাকার বেশি হলেও তারা সাড়ে ৩শ টাকার বেশি নিবেন না। এছাড়া সিঙ্গেল কেবিন ১২শ টাকা, ডাবল কেবিন ২৪শ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের আগাম টিকেট আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এতোদিন ২ থেকে ৩টির বেশি লঞ্চ চলতো না। তবে বরিশাল-ঢাকা রুটে আগামী ৪ এপ্রিল থেকে কমপক্ষে ৬টি করে লঞ্চ প্রতিদিন চলবে।
বরিশাল নগরের সুরভী ও সুন্দবন লঞ্চ কাউন্টারে সোমবার খোজ নিয়ে জানা গেছে, কেবিনের আগাম টিকেট পেতে নাম লিখে রাখা হয়েছে মোট আসনের বেশি সংখ্যক। তারা আজ মঙ্গলবার আগাম টিকেট বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুন্দরবন লঞ্চ কাউন্টার সুত্রে জানা গেছে, ভাড়া বাড়ানো হয়নি। টিকেটের চাহিদাও আছে।
এদিকে ঈদে লঞ্চে যাত্রী সেবা নিশ্চিতে বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন পৃথক সভা করেছে। ওই সভায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা এবং ভাড়া বৃদ্ধি না করার উপর জোর দেয়া হয়। লঞ্চ মালিকরা অবশ্য দুর্ঘটনা রোধে ঈদের ৫ দিন আগে ও পরে বালুবাহী এবং পন্যবাহী কাগো নদীতে না চালানোর দাবী জানান।
এব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন স্মার্ট বরিশাল ডটকম কে বলেন, ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে তারা যাত্রী সেবা নিশ্চিতে আইনশৃংখলাবাহনীর পাশাপাশি ভলান্টিয়ার নিয়োজিত করবেন। লঞ্চের মাস্টার ও চালকেদের ঝড়ঝঞ্জা রোধে লাইফ জ্যাকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রাখা এবং প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।