বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরে আহত হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী।
শনিবার দিনগত রাতে মারধরের শিকার দুই ছাত্রকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সিফাত হাসান (২১) ও মো. রাজু মোল্লা (২৩)।
সিফাত ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পশ্চিম কান্দিপুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে এবং রাজু গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ধোরাল গ্রামের মো. বারী মোল্লার ছেলে।
প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, রাতে হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দুই জনকে আহত অবস্থায় পেয়েছি।
তাদের আঘাতের ধরন দেখে ঝুঁকি নিতে চাইনি। তাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সকালে তাদের পরীক্ষা ছিল। তাই সকালে তাদের নিয়ে এবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েরসে পরীক্ষার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রভোস্ট আরও বলেন, মারামারিতে জড়ালেও ছাত্র লীগের কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ না দিলে তো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
তবে হলে মারামারি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে, আরও বেশি তৎপর থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রভোস্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সাংগঠনিক কমিটি না থাকায় যে যার মতো নিজেকে নেতা দাবি করছে। আধিপত্য বিস্তারে একের পর এক সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই জাফর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শের-ই বাংলা হলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের নাবিদ ও আলিম সালেহীন পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সালিহীন জেলে ছিল।
জেল থেকে বেরিয়ে সালেহীন হলে ঢুকতে চায়। কিন্তু নাবিদ পক্ষ তাকে বাধা দেয়। এর জের ধরে শনিবার রাত ২টার দিকে সালেহীন পক্ষের লোকজন একত্রিত হয়ে নাবিদ পক্ষের দুই জনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও কিল ঘুষি দিয়ে আহত করেছে।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানান তিনি।
মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশী সহায়তা চেয়েছে। তাদের পুলিশী সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আইনী সহায়তা চাইলে আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।