বরিশাল নগরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে বান্দরোডের কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে। এরই মধ্যে সেখানে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন বুধবার (১০ এপ্রিল) বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মাঠ পরিচ্ছন্ন করাসহ বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে বিশাল প্যান্ডেল করেছে। এখানে একসঙ্গে পাঁচ হাজারের বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এ ময়দানে ঈদের দিন সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বছরের মত এ ঈদগাহ মাঠে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নামাজ আদায় করবেন।
এছাড়া বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও এখানে নামাজ আদায়ের কথা রয়েছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত আদায়ে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলার সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরমোনাই দরবার শরীফ ময়দানে। সেখানে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে ইমামতি করবেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দ্বিতীয় বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঝালকাঠির নেছারাবাদ মাদরাসায়। তৃতীয় জামাত হবে মির্জাগঞ্জ ইয়ারউদ্দিন খলিফার (র.) মাজারে।
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদরাসা মাঠে ময়দানে সকাল ৮টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল ৮টা ও সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুরে দক্ষিণ এশিয়ার দৃষ্টিনন্দন এ রব ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজের জামাত হবে। এ ময়দানে একসঙ্গে এক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।
বরিশাল মহানগর জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবদুল মান্নান জানান, বরিশাল নগরের চারটি মসজিদে দুটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর রোডে বায়তুল মোকাররম মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও সাড়ে ৯টায় দুটি জামাত হবে। নগরের চকবাজার রোডে জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদ ও গির্জা মহল্লার জামে কশাই মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও ১০টায় জামাত হবে। নগরের পুলিশ লাইন জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায় দুটি জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।
র্যাব-৮ বরিশালের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা জোরদারকল্পে র্যাব সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন ও টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে র্যাব-৮। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ ঈদের পূর্ববর্তী, ঈদ এবং ঈদের পরবর্তী সময়ে জনসাধারণ যেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে, তার জন্য বাড়তি টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও ভোলা জেলায় অস্থায়ী ক্যাম্পের মাধ্যমে ফেরিঘাটের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদের পূর্ববর্তী সময়ে বাস টার্মিনাল, মার্কেট এবং লঞ্চ টার্মিনালে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের নামাজের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত চলাকালে সাদা পোশাকধারী ও টহল দল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে। ঈদ উপলক্ষে এই বিশেষ টহল ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।