বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুরের পাশে শুধুমাত্র স্ত্রী আর শশুর, শাশুরি ছাড়া পরিবারের আপন ভাই-বোন কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। নির্বাচনে হারিছের বিরুদ্ধে একাট্রা হয়ে অপর প্রার্থী মনির হোসেনের পক্ষ নিয়ে মাঠে নেমেছেন হারিছের ভাইয়েরা। এনিয়ে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।
শনিবার রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সমর্থনে এক উঠান বৈঠকে হারিছুরের বড় ভাই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগে আমার বড় ভাই শিল্পপতি এনায়েত করিমকে নিয়ে গৌরনদীর দিয়াশুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে উঠি। সেখানে রাতের আধাঁরে আমাদের ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছ আমাদের দুই ভাইকে মারার জন্য সহ একাধিক সন্ত্রাসী জড়ো করে। হারিছ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের দুই ভাইকে ভবনের মধ্যে আটকে রাখে। আমাদের ভবনের পানির লাইন, বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়। পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় রক্ষা পাই। এরপর থেকে হারিছের বিরুদ্ধে আমরা অন্য ভাইয়েরা একত্রিত হয়েছি। সে (হারিছ) গৌরনদীতে দানবের রুপ ধারন করেছে। হারিছের দ্বারা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী সহ আমরা আপন ভাইয়েরাও নির্যাতিত-নিপীড়িত। তাই পরিবারের সদস্যরা মিলে হারিছ নামক দানব থেকে গৌরনদীবাসীকে মুক্ত করতে মনির হোসেন মিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছি এবং আগামী ২৯ মে নির্বাচনে মনির হোসেনের কাপ-পিরিচ মার্কায় সকলকে ভোটদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, যে প্রার্থী তার আপন ভাইদের বাড়ি থেকে বিতারিত করতে পারে সেই প্রার্থী সাধারণ জনগনের জন্য বিপজ্জনক। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ গৌরনদী চাই। এবিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুরের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে এরআগে তিনি বলেছিলেন তার বিজয় নিশ্চিত জেনে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।