মোঃ শহিদুল ইসলাম :: দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো বরিশাল শহরের রাস্তা। খানা খন্দ আর বড় বড় গর্তে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা সড়কটির। প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার পথচারী ও যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের। এ কারনে প্রায়ই ঘটে যানবাহন উল্টে যাওয়ার মতো ঘটনাও।
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা বরিশান নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া সড়ক, এটাই মুল সড়ক হিসাবে ধরা হয়। প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক টি নতুল্লাবাদ ব্রিজ থেকে নবগ্রাম রোডের সাথে রয়েছে সংযোগ। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়া প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সংস্কারের অভাবে ময়লা পানিতে হাঁটু সমান ডুবে থাকে সড়কটি। বৃষ্টিতে সড়কটি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় এখানকার মানুষের কাছে।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শুরুতে সড়কটি কার্পেটিংয়ের পাকা সড়ক থাকলেও, পরে সংস্কার করে ইটের সলিং করা হয়। দুর্ভোগ সেখান থেকেই শুরু, ভারি যানবাহন চলা চলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য গর্ত। মটর সাইকেল, ইজিবাইক ও অন্য ছোট বড় যান বাহনগুলো চলছে হেলে দুলে। এলাকাবাসীর দাবি প্রায় ১০ বছর ধরে সড়কের সংস্কার না হওয়ায় এই পথে চলা চলা করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্কুল পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হলে এই একমাত্র সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। অথচ এই সড়কটি ব্যবহার করতে গিয়ে ড্রেস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাটা চলা করা যায় না। পানির নিচে থাকা গর্তে রিকশার চাকা পড়ে রিকশা উল্টে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলা চল করতে হচ্ছে সবাইকে।
এলাকাবাসি বলেন, রিকশা যেতে চায় না এই সড়কে। আর গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে থাকে। এছাড়া মাসের পর মাস ড্রেনের ময়লা পানিতে ডুবে থাকে সড়কটি। এতে চলা চলে করতে সমস্যা হয় আমাদের।
কিন্তু সড়কে খানা খন্দ ও পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে পরতে হয় সবাইকে। ভাঙ্গা সড়কের ঝাঁকুনি, আর বৃষ্টি ও পানির কারণে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, সড়কের ঝাঁকুনিতে গর্ভবতী নারী ও হার্টের রোগীদের এই সড়কে চলা চল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। পানি থাকার কারণে হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে জনগণের ভোগান্তি লাগভের দাবি জানিয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ড বাসি।
এ ব্যাপারে ২২.২৩ ও ২৪ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয় জানতে বরিশাল সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্বাহী মোঃ ইসরাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন জিয়া সড়কের মুল সড়কের কাজ টেন্ডার হয়েচে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।