বরিশালে সংবাদ প্রকাশের জেরে শহিদুল ইসলাম (৩৯) এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন মাদক সেবক ও নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত দর্জি মিজান।বুধবার ( ৬ মে ) সন্ধা ৭.৩০ দিকে নগরীর ২২ নম্বর সর্দার বাড়ির পুল সম্মুখে খান ভবনের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।তিনি নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা।তিনি দৈনিক সমাচার পত্রিকার চিপ রিপোর্টার হিসাবে রয়েছেন।
আহত শহিদুল গণমাধ্যমকে জানান,আমি নগরীর চৌমাথা বাজারে থেকে বাসায় ফেরার পথে মোবাইলে ফোন দিয়ে এক ভুক্তিভুগি নারী জানান তার বাসায় লম্পট মিজানুর রহমান (লুচ্চা) মিজান জোড় পুর্বক বাসার ভিতরে প্রবেশ করে,মারধর এবং শ্লীনতাহানি চেষ্টা করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মোবাইল ভিডিও চালু রেখে ঐ বাসায় গেলে মাদকাসক্ত মিজান মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।
এক পর্যায়ে ফোনটি ফেরত চাইলে ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মিজান এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এতে বা পায়ে ঘারে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে দৌড়ে জীবন রক্ষা করেন। পরে আত্মীয়স্বজনরা রক্তে মাখা শরীর নিয়ে মেডিকেল ভর্তি করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন দর্জি ব্যবসার আড়ালে মিজানের নারী কেলেঙ্কারি ও মাদক সেবন ও বিক্রির এমন বহু তথ্য রয়েছে আমার কাছে।পত্রিকায় এমন খবর ছাপা হলেও তার টনক নড়চেনা। এরপরও পুনরায় আবার এমন ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করছেন এলাকাবাসি।
ভুক্তভোগী ঐ নারী কর্মচারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংসারে টানাপোড়েন এর কারনে কয়েক বছর যাবত ওয়েলকাম টেইলার্সের মালিক মিজানের দোকানে আমরা এ যাবদ একে একে বহু নারীরা কাজ করেছে। কিন্তু তিনি দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মিজান কুপ্রস্তাব দিতেন। ঐ নারী আরও জানান গত ৫ মে সন্ধা রাতে আমার বাসায় এসে জোড়পুর্ব আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং মারধর করে এতে শরীরের বিভিন্ন স্হানে ফুলে যায়। এ কারনে থানায় অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সুত্রে জানা গেছে মিজানুর রহমান (মিজান) বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ইচাগুরা গ্রামের আকনবাড়ি মোহাম্মদ আলীর ছেলে। মিজানের স্ত্রীসহ রয়েছে দুই মেয়ে বড় মেয়ে কলেজ পড়ুয়া।
ওয়েলকাম টেইলার্স এ্যান্ড লন্ড্রির মালিক মিজানুর রহমান (লুচ্চা মিজান নামে পরিচিত) বর্তমানে নগরীর নবগ্রাম রোড ২২ নম্বর ওয়ার্ড শরীফ মনজিলের পশ্চিম পাশে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তার নোংরামির কারনে করিম কুটির,চৌমাথা, নব আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ও অক্সফোর্ড মিশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়েও ১/২ বছরের বেশি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে থানায় মামলার , এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। আসামি ধরতে তৎপর তারা।