১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ১০:০২

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ছোঁয়ায় উন্নতি হচ্ছে জনগণের

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, জুন ২৮, ২০২৪,
  • 248 পঠিত
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

শুধু নিজ আসনেই নয়,সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দেশব্যাপী নদী তীর রক্ষা, ভাংগন প্রতিরোধ, নদী ড্রেজিং, খাল পূন:খনন্সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড সম্পাদন করে সাধারণ জনগন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পরপর দুবারের প্রতিমন্ত্রী, বরিশাল সদর আসনের টানা দুবারের নির্বাচিত সাংসদ, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল অব: জাহিদ ফারুক শামিম। উন্নয়ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি নিজ দলের নেতা-কর্মীদের কাছেও একজন সফল সংগঠক হিসেবে সকলের হৃদয়ে আসীন হয়েছেন জাহিদ ফারুক শামীম এমপি । পিছিয়ে নেই সামাজিক কর্মকাণ্ডেও।

নিজ হাতে এবং সদ্য প্রয়াত স্ত্রীর পক্ষ থেকেও মসজিদ- মাদ্রাসা-এতিমখানাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতা করেছেন। ফলাফল স্বরুপ বিগত জাতীয় নির্বাচনী প্রচারনায় বরিশালে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে একজন সৎ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যা একেবারেই বিরল।এই সকল কর্মযজ্ঞের কারনে তাকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া এখন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের দাবীতে পরিনত হয়েছে। একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে তার মন্ত্রণালয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ড, বরিশাল কর্তৃক শুধুমাত্র বরিশাল সদর উপজেলায় ৫.৬৮৭ কি:মি: স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ হয়েছে যার জন্য ব্যায় হয়েছে ৩১৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রাক প্রতিরক্ষামূলক কাজ হয়েছে ১৩.৮৯ কি:মি: যার জন্য ব্যায় হয়েছে ৩১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা, ৫.৬০ কি:মি: নদী ড্রেজিং হয়েছে যার জন্য ব্যায় হয়েছে ৩২ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা এবং ৬.০১১ কি:মি: বাঁধ মেরামত করা হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকায়। এছাড়া স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সদর উপজেলায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারে তিনি রেখেছেন ব্যাপক ভূমিকা। এদিকে, দখল-দূষণের কবলে হারিয়ে যাওয়া বরিশাল নগরীর ২৪টি খালের মধ্যে প্রধান ৭টি খালের প্রাণ ফেরাতে খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর ফলে নগরীর কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া আমানতগঞ্জ, জেলখাল, রূপাতলী খাল, পলাশপুর খাল, সাগরদী খাল, চাঁদমারী খাল এবং ভাটারখাল দীর্ঘদিন পরে হলেও অস্তিত্ব ফিরে পাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-৫ (সিটি-সদর) আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খালগুলো পুনরায় নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। একইসঙ্গে ম্যাপ অনুযায়ী উদ্ধার হচ্ছে দখলকৃত খালের পাড়। এগুলোর খনন কাজ শেষ পর্যায়ে।। ফলে নগরীর প্রায় সাড়ে ৫ লাখ বাসিন্দা জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি পাবে। পর্যায়ক্রমে নগরীর মধ্যে থাকা ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছোটবড় ৪৬ খালও আসবে সংস্কারের আওতায়। জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে বরিশালে ৪৬টি খালের অস্তিত্ব ছিল। তবে স্বাধীনতা পরবর্তীতে তা কমে দাঁড়ায় ২৪টিতে। বর্তমানে বড়-ছোট মিলিয়ে টিকে থাকা ২৪টি খালও পরেছিলো অস্তিত্ব সংকটে। দখল-দূষণ আর অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে টিকে থাকা খালগুলো মরাখালে পতিত হয়েছিলো ।

আর হারিয়ে গেছে বাকি ২২টি খাল। এরমধ্যে এখন প্রাথমিকভাবে ৭টি প্রধান খালের খনন শুরু হওয়ায় আনন্দে ভাসছে ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বরিশাল নগরীর ৭টি খাল খননে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ বাস্তবায়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় পলাশপুর খাল (১ কিলোমিটার ৭০০ মিটার), ১ কোটি ৯ লাখ টাকায়, আমানতগঞ্জ খাল (২ কিলোমিটার ৫০ মিটার) ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়, সাগরদী খাল (৯ কিলোমিটার) ২৮ লাখ টাকায়, রুপাতলী খাল (১ কিলোমিটার) ৩২ লাখ টাকায়, চাঁদমারি খাল (১ কিলোমিটার ৪২১ মিটার) ৪ লাখ টাকায়, ভাটার খাল (১৬০ মিটার) ও ২৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় জেল খালের (২ কিলোমিটার) সর্বমোট ১৯ কিলোমিটারে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শেরে-বাংলা সড়ক এলাকার বাসিন্দা রিফাত বলেন, বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক জোয়ারে খাল উপচে সড়কে হাঁটুপানি জমে থাকে। ফলে তখন আমাদের যাতায়াতসহ স্বাভাবিক কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। এখন খাল খননের ফলে ওই দুর্ভোগ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে। তিনি আরও বলেন, খাল খনন পরবর্তীতে এই এলাকার সড়কগুলো উঁচু করে নির্মাণ না করলে সমস্যা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

তাই খাল খননের পাশাপাশি সড়কও উঁচু করে নির্মাণের দাবি জানান তিনিসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা। বরিশাল নগরীর বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, এক সময় খালের পানি দিয়ে সাধারণ মানুষ চা বানাতো যা এখন শুধুই স্মৃতি। এখন খাল খননের ফলে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ার-ভাটার পানি প্রবাহিত হয়ে সেই পানি ফিরে আসবে। আর জলাবদ্ধতা থেকে আমরা মুক্তি পাবো। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওলিদ বলেন, ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়েছে। যা নির্ধারিত সময় ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হবে। কাজ শেষ হলে চলতি বৃষ্টি মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন ...

এই বিভাগের আরো সংবাদ...
© All rights reserved © ২০২৩ স্মার্ট বরিশাল
EngineerBD-Jowfhowo