গত ১৩ জুন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বরিশাল ৫ আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া মাত্রই তিনি হাসপাতালের বিদ্যমান চিকিৎসা সমস্যা নিয়ে নাগরিক মতবিনিময় সভা ডেকেছেন বরিশালে। তার এই আহ্বান মুগ্ধ ও বিস্মিত বরিশালবাসী দলমত নির্বিশেষে ছুটে আসেন। শুধু বরিশাল নয়, বিভাগের ছয় জেলা থেকেই সাধারণ মানুষ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের কাছে আলোচিত হয়ে ওঠেন জাহিদ ফারুক। কেননা এরকম কিছু বরিশালের জন্য এটাই প্রথম ঘটনা । ১৯৬৪ সালে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠার পর অসংখ্য সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন এই হাসপাতালের। কোনোদিন কেউ এমন কিছু করেননি বলে স্পষ্ট মুগ্ধতা প্রকাশ করেন আগত ব্যক্তিবর্গের অনেকেই। যে কারণে ২৮ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত নাগরিক মতবিনিময় সভায় জনগণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপচে পরা ভিড় চোখে পড়ে। এমনকি মিলনায়তনে স্থানসংকুলানের অভাব দেখা যায়। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এ সময় দুটি হাসপাতালের বিদ্যমান চিকিৎসা সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় করেন আইনজীবী, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ। ব্যবসায়ী সমাজ ছাড়াও হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তাররাও তুলে ধরেন তাদের সমস্যা। আলোচনায় উঠে আসে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও এম্বুলেন্সসহ নানাবিধ সমস্যা। আলোচনায় অংশ নেন জাসদ নেতা সাইফুর রহমান মিরন
সিনিয়র আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্তী, কাজী মিজানুর রহমান, ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী, কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, পুষ্পা চক্রবর্তী, আরিফুর রহমান মুন্না, সাংবাদিক সোহাগ সহ আরো অনেকে মতবিনিময় করছেন।
এসময় ডাঃ মনীষা হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি রেডিওথেরাপি মেশিন, এমআরআই মেশিন এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকা নিয়ে কথা বলেন।
কাজী মিজানুর রহমান পুরো হাসপাতালের অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কর্মীদের ইউনিফর্ম ব্যবহার এবং পরিচালক সামরিক বাহিনীর লোক ব্যবহারের প্রস্তাব করেন।
হাসপাতালে নিরাপত্তা প্রহরী ও দর্শনার্থীদের সাউন্ড সিস্টেম ও ইন্টারকমের আওতায় আনার প্রস্তাব করেন হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ডাঃ সৌরভ। সাংবাদিক নেতা এসএম জাকিরও ডায়ালাইসিস ও আইসিইউ সমস্যা নিয়ে কথা বলেন।
সকলের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি সমস্যাগুলো লিখিত নোট গ্রহন করেন দুটি হাসপাতালের নতুন সভাপতি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপি। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে বরিশালের দুটি হাসপাতালের চিকিৎসা ও সেবার মানে অনেক পরিবর্তন ঘটবে। আমি মনে করি বরিশালের মানুষের সেবা করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই হাসপাতাল। তাই এই দুটি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আমার অন্যতম দায়িত্ব। আমি এখানে কথা দিলাম, আগামী তিনমাসের মধ্যে আপনারা এই পরিবর্তন দেখতে পাবেন।