সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকা হলেও বিভিন্ন জায়গায় হাঁটু সমান পানি থাকায় সড়কের ওপর বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
বুধবার সকালে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সরদার বাড়ি সড়কের ওই বাঁশের সাঁকোর স্থানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে পিচ ঢালাইয়ের রাস্তা করে দেওয়ার নামে রাস্তার ইট উঠিয়ে ফেলায় এমন ভোগান্তির চরম পর্যায় পরেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রিন্স মাহমুদ সরদার বলেন,বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের দোকান এলাকার সরদার বাড়ি থেকে চাপরাশি বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ সিটি করপোরেশনের। এরপর থেকে সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন শুরু।
ওই ইউনিয়নের রাস্তাঘাট মাটির হলেও সরদার বাড়ি থেকে চাপরাশি বাড়ির দিক যেতে অনেকটা পথ হ্যারিংবোন করা ছিল। কিন্তু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে নতুন কার্পেটিং রাস্তা করে দেওয়ার নামে রাস্তার ইট তুলে নেওয়া হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তার ওপর হাঁটু পানি জমে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরে। তাই বাধ্যহয়ে ভূক্তভোগিরা রাস্তার ওপর বাঁশের সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করছেন।
এতে করে এখন শহর অংশের পাশাপাশি রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামের বৃদ্ধ ও শিশুদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তারটি নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ শাহরিয়ারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রভাবশালী এই জনপ্রতিনিধির আর দেখা মেলেনি। অপরদিকে রাস্তার ইট উঠিয়ে নেওয়া কিংবা ভবিষ্যৎ নির্মাণের বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।
সিটি কর্পোরেশন বলছে পর্যায় ক্রমে সকল কাজই হবে।