“এম.এস.আই লিমনঃ
চেইন অফ কমান্ড মানছে না বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিসিসি’র প্রায়শ কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বিসিসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধাননির্বাহী কর্মকর্তা বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর অর্ডার সিটে অনানুষ্ঠানিক নোটে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা -কর্মচারীরীর প্রয়োজন আছেকিনা সে বিষয় মতামত প্রদানের জন্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে সময় বেধেদেয়া হলেও তা আমলে নিচ্ছেন না শাখা ও বিভাগীয় প্রধানেরা।
সিটি কর্পোরেশন এর প্রধানের সাক্ষরিত অফিসিয়াল অর্ডার সীট ভ্রূক্ষেপ না করে উল্টো নিয়মবহির্ভূত ভাবে উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশনা ছাড়া সি ই ও র সাক্ষরিত অফিসিয়াল অর্ডার সিট বেধে দেয়া সময় ফুরানোর পরেও অসৎ উদ্দেশ্য উর্ধতন কতৃপক্ষকে বিতর্কিত করতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে অর্ডার কপি প্রেরন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিসিসি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে একাধীক কর্মচারীরা করে বলেন প্রশাসনিক পদে বসে তার ব্যক্তি ইচ্ছে মত দাপ্তরিক কার্যক্ম পরিচালনা করে আসছে। ৫০ থেকে ১
শ টাকা পকেটে গুজে দিলেই এক আধবেলার ছুটি পাওয়া যায় তার থেকে।বিসিসির ভারপ্রাপ্ত সিইওর স্বাক্ষরীত অফিসিয়াল নোটসীটে বিভিন্ন বিষয়ের অর্ডার সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের চিঠি এর আগেও বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাঠিয়ে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় হাজার থেকে লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে যার সত্যতা প্রমাণিত হয় সম্প্রতি কার্য স্বার্থে এস্টিমেটর প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তাদের রাখা না রাখার দাঁড়িপাল্লার হিসেব নিকেশ এ। অথচ প্রয়োজনের থেকে বেশী লোকবল অতিরিক্ত হয়ে জনগনের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে বেতন দিতেছে নিয়মিত কিন্তু প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বনিবোনায় না বোনাতে তিনজন দক্ষ ইস্টেমেটরদের বেলায় তাদের রাখা না রাখার হীনমন্যতায় নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরিন কোন্দলে বিশৃঙ্খোলা দেখা দিয়েছে নগর ভবনের দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত কর্তব্যরতদের মাঝে। ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার সাক্ষরিত অফিসিয়াল অর্ডার সিটে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এ চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীর প্রয়োজন আছে কি না এবিষয় মতামত প্রদানের জন্য বিসিসি’র বিভিন্ন বিভাগ /শাখায় নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজন আছে কিনা চুক্তির মেয়াদ বর্ধিতকরনের প্রয়োজনীয়তা এবং যাদের প্রয়োজন নেই তাদের বাতিল করার বিষয়ে বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সমন্বয়ে ০৩(তিন) কার্যদিবসের মধ্যে প্রশাসনিক শাখায় মতামতপ্রেরণের জন্য উল্লেখ করে। অর্ডার অনুযায়ী তালিকার সকল শাখা থেকে মতামত প্রদান সময় মত হলেও ব্যতিক্রম শুধু এস্টিমেটর পদের বেলায় ঘটাতে এবং তিন কার্য দিবস শেষ হয়ে গেলে নানান সময়ের এ সংক্রান্ত দূর্ণীতির অভিযোগের ব্যাপারটি সামনে চলে আসায় সন্দেহ ডানা মেলে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা র সাক্ষরিত তিন কার্যদিবসের মধ্যে মতামত প্রদানের বিষয়ের অর্ডার সীট সন্দেহজনক ভাবে নিয়মবহির্ভুত ভাবে কোনধরনের নির্দেশনা ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব সরদারকে দিলে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ অর্ডারসীট তিনি রিসিভ না করায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ভিতরের থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিভাগীয় প্রধান কে অর্ডার সীট প্রদানের পরেও নির্বাহী প্রকৌশলী কে কেনো বা কি উদ্দেশ্যে তিনকার্যদিবস শেষ হবার পরে কার নির্দেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এহেন বিষয় ঘটিয়েছে তার কোনো সদুত্তর দিতে না পারলেও প্রশাসনিক শাখার উচ্চমান সহকারী লকিতউল্লাহ সিকদার শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় যাতে করে থলের বিড়াল না বেরোয়। সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত প্রকল্পের ৮শ কোটি টাকার ইস্টিমেট দিনরাত এক করে তিনজন এস্টিমেটর দিয়ে ২৫ দিনে কমপ্লিট করায় নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এরজন্য অবশ্য পলায়ন করা মেয়র আবুল খায়ের তাকে পুরস্কার সরুপ পদোন্নতি দিতে কার্পোন্নবোধ করেন নি৷ যে তিনজন এস্টিমেটর দিয়ে দিনরাত এক করিয়ে ৮শকোটি টাকর প্রকল্পের ইস্টিমেট করিয়ে পদোন্নতি পেয়েছে সেই এস্টিমেটরদের পদ শূণ্য থাকা সত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার তিন কার্যদিবসের মধ্যে মতামত প্রদানে অর্ডার অমান্ন করে সেচ্ছাচারিতায় বিলম্বের সময় দীর্ঘ হওয়ায় নগরভবন থেকে শুরু বিভিন্ন আড্ডায় চেইন অফ কমান্ড অমান্য করার পিছনের রহস্য নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে মূখে মূখে। এই প্রথম কোন কর্মকর্তা সিটি কর্পোরেশন এর অর্ডার অমান্য করায় ইমেইজ সংকটে পরেছে গোটা সিটি কর্পোরেশন এর চেইন অফ কমান্ডের। এ বিষয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বললে জানানো হয় সব কিছুই মনিটরিং করা হচ্ছে সঠিক সময়েই সকল অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বঙ্গবন্ধু পেশা জীবী পরিশোধের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দক্ষতার সাথে সংগঠন পরিচালনা করে সুনাম অর্জন করেছে নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির।
আগামী পর্বে চাঞ্চল্যকর সকল তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদনে আরো বিস্তারিত পাঠকদের উদ্দেশ্য প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ।