ঈদের আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)। একইসঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা চালু,ননএমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, ননএমপিও শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। মঙ্গলবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ড.নুর মোহাম্মদ তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়। বাকবিশিসের দাবিগুলো হলো, ঈদের আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা চালু, নন এমপিও শিক্ষকদের দ্রত এমপিওভুক্ত করা, এমপিও না হওয়া পর্যন্ত নন-এমপিও শিক্ষকদের বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা দেয়া, অনতিবিলম্বে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন ও শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণ। বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা বলেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে কয়েক দফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। এই কঠিন পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় বেসরকারি শিক্ষকদের মাত্র পঁচিশ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া কেবল অমানবিকই নয় অপমানজনকও। তারা অনতিবিলম্বে এমপিওভুক্তসহ সব বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব বোনাস দেয়ার দাবি জানান। নেতারা আরো দাবি জানান, বেসরকারি কলেজে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া বন্ধ, এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা বন্ধের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে ‘প্যানেল’ গঠন করা ও পদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ দেয়া ব্যবস্থা করা এবং অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দ্রততার সঙ্গে শেষ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকায় শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায় না হলে বাকবিশিস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মতো কঠিন কর্মসূচি দেয়াসহ সব শিক্ষক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।