প্রতিবছরেরও মতো এবারের ঈদেও বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হবে। তবে, এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমর্রত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন। এর সঙ্গে বৈশাখী ভাতা বাবদ বেতনের ২০ শতাংশ টাকা পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। ঈদের আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতার টাকা ছাড় করতে চাচ্ছে শিক্ষা প্রশাসন। বুধবার বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান। দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের মত মূল বেতনের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সে দাবিতে সরকারের সায় মেলেনি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালক বুধবার বলেন, আগের নিয়মেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেয়া হবে। শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন। বুধবারই স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ঈদ উৎসব ভাতার চেক ছাড় হতে পারে। তা না হলে বৃহস্পতিবার উৎসব ভাতার চেক ছাড়া হবে। আর শিগগিরই বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় হবে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবারও মাদরাসা শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হবে। আর বৈশাখী ভাতা দেয়া হবে বেতনের ২০ শতাংশ। শিক্ষকদের ঈদ উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতার চেক ছাড়ের কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই চেক ছাড় হবে। শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা নিয়ে কথা বলতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার উপপরিচালক নাজমুন নাহার ও সহকারী পরিচালক বিমল কুমার মিশ্রের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। এরপর থেকেই শিক্ষকরা মূল বেতনে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি শিক্ষকদের মতো চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়া দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৯ সাল বা ১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকে বৈশাখী ভাতা পাওয়া শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তার আগের বছর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী এবারও এমপিওভুক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পেতে যাচ্ছেন।„