বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে আহত পুলিশ কনস্টেবল ভূদেব বিশ্বাস (৪০) আগৈলঝাড়া থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তিসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাইক (৩০), উপজেলা যুবলীগের সদস্য জিয়া ফরিয়া (২৯) ও জহিরুল ইসলাম পাইক (৩০)। ভূদেব বিশ্বাস অভিযোগ করেন, তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে আগৈলঝাড়া থানা সংলগ্ন বিএইচপি একাডেমির সামনে আসেন। এ সময় সেখানে মোটরসাইকেল রাখতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেনের পায়ের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের চাকার সামান্য ঘঁষা লাগে। এতে জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর করেন। এ সময় তিনি হেলমেট খুলে নিজের পরিচয় দেন। তবে তাঁর কথা না শুনেই জাকির, জাকিরের বড় ভাই ও বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ পাইক (৩৫), ভাগনে উপজেলা যুবলীগের সদস্য জিয়া ফরিয়া (২৯), বাকাল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন পাইক (৩৫), জহিরুল ইসলামসহ (৩০) ১২ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মী তাঁকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে হেলমেট দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল রাতে পুলিশি হেফাজতে ছাত্রলীগ নেতা জাকির বলেন, ওই পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল দিয়ে তাঁকে আঘাত করলে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছিল। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন ওই পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা দেন। এতে ওই পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তিনি ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেননি। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ কনস্টেবল ভূদেব বিশ্বাসের ওপর হামলার মামলায় এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।