বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে লঞ্চ থেকে মেঘনায় ঝাঁপ দেওয়া নিখোঁজ শেখ রিফাত মাহমুদ সাধের (২৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (এপ্রিল ১০) সকালে নোয়াখালীর কাছাকাছি একটি নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। রিফাতের বাবা নগরীর কালীবাড়ি রোডের বাসিন্দা ঠিকাদার শেখ আসলাম মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকালে একটি স্পিডবোট নিয়ে আমার ছোট ছেলে ও তার চাচাকে নিয়ে খুঁজতে খুঁজতে চাঁদপুর মোহনার পর নোয়াখালীর কাছাকাছি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ কোনো ধরনের কোনো সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শেখ আসলাম মাহমুদ জানান, বাদ জোহর সদর রোডে জানাজা শেষে মুসলিম গোরস্থানে তার ছেলের মরদেহ দাফন করা হবে। এর আগে গত (৮ এপ্রিল) রাতে বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে শুভরাজ- ৯ লঞ্চ থেকে নিখোঁজ হন রিফাত। পরে লঞ্চের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত দেড়টার দিকে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি। এ ঘটনায় তার বাবা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শেখ আসলাম মাহমুদ বলেন, রিফাত ব্রজমোহন কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছে। আবুল খায়ের গ্রুপ অব কোম্পানিতে তার নিয়োগ হয়েছে। গত শনিবার সেখানে যোগদানের কথা ছিল। চাকরিতে যোগদান করতে বরিশাল থেকে লঞ্চে ঢাকা রওয়ানা হয় সে। এমনকী যাওয়ার সময় আমার ও তার মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিয়েছে। আমার হাতে ও মায়ের কপালে চুমু দিয়েছে। যাওয়ার সময় আরও বলেছে, ঢাকা গিয়ে যদি টাকার প্রয়োজন হয় পাঠিয়ে দিও। আমিও তাকে বলেছি, তুমি জানালে পাঠিয়ে দেব। কেন, কী হলো বুঝতে পারছি না। এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১টা ১৬ মিনিটের দিকে লঞ্চের দ্বিতীয় তলার কেবিনের পাশে রেলিং ধরে নদীর দিকে তাকিয়েছিলেন রিফাত। রাত ১টা ৩৩ মিনিটে রেলিংয়ের ওপর উঠে ঝাঁপ দিতে গিয়ে থেমে যান। এক পা রেলিংয়ের বাইরে দিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশে আরও দুই যাত্রী থাকলেও তারা বিষয়টি খেয়াল করেননি। মিনিটখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর নদীতে ঝাঁপ দেন রিফাত। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে তার বাবা নিজেই মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।