শেষ পর্যন্ত বদলী করা হলো বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল হালিমকে। ১২ ফেব্রুয়ারী জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় এ বদলী আদেশ প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণ মাধ্যমে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল হালিমের অনিয়ম দুর্নীতি ও ব্যর্থতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আবদুল হালিম ২০১৭ সালে প্রথম বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। ওই দফায় ছিলেন ২০২০ সাল পর্যন্ত। তখনই অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয় সরকারের গুরুত্বপূর্ন এই প্রতিষ্ঠানটি। এর পর তাকে একটি জেলায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে বদলী করা হয়। কিন্তু বরিশালের মায়ায় পড়ে যান হালিম। লবিং করে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এক বছরের মাথায় আবার ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক পদে ফিরে আসেন তিনি। যার সমাপ্তি ঘটলো দুই বছরেরও বেশী সময় পর । জানাগেছে দুই মেয়াদে ৫ বছরেরও বেশী সময় পরিচালক ছিলেন তিনি, চেয়ারে আসীন হয়ে অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেন প্রতিষ্ঠানটিকে। শুধু দুর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্য করেই থেমে থাকেননি তিনি। অফিসে তার অধিনস্থ উপ পরিচালক থেকে শুরু করে একাধিক সহকারী পরিচালক, পরিদর্শক, ক্যামিস্ট থাকলেও সবাইকে পুতুল বানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। নিয়ম মাফিক এসব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টণ করা থাকলেও সবক্ষেত্রে ছিলো তার কর্তৃত্ব। অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাপা ক্ষোভ ছিলো তার বিরুদ্ধে। তার বদলীর খবরে একাধিক কর্মকর্তা ফোনে স্বাস্তি প্রকাশ করেছেন।