আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন (২০২৩) মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছেন অনেকেই। চাচা ভাতিজার মনোনয়ন দৌড়ে কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছেন ক্লিন ইমেজের জনগণের সীকৃত আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন। বরিশালের মানুষ সৎ, যোগ্য ও শিক্ষিত ব্যক্তিকেই আগামীর মেয়র হিসেবে দেখতে চায় সরেজমিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে ।
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশা করলেও তাদের অধিকাংশরাই নানান কর্মকান্ডেলিপ্ত হয়ে বিতর্কিত। তবে বিতর্ক এড়িয়ে জনগণের পাশে থাকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে খান মামুন। দলের এবং বরিশালের সাধারণ মানুষের জন্য তিনি চার দশক ধরে শুধু দিয়েই গেছেন। বিনিময়ে দল থেকে বঞ্চিত হলেও সার্থক তিনি জনগণের আস্থা ভাজন হিসেবে নিজের নাম সাধারণ মানুষের মনে লিখিয়ে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল সিটি সহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী আড্ডায় আলোচনা সমালোচনার ঝড়ের কবলে নানান বিতর্কিত কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন বিষয় বেশির ভাগ প্রার্থীর নামের পাশে আসলেও খান মামুন ই একমাত্র যিনি কিনা বিতর্ক এড়িয়ে সবার থেকে ঝাপিয়ে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে একমাত্র স্থান করে নিয়েছে ।
যে কারনে বরিশাল মহানগরীর অলিগলি থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে আড্ডায় নির্বাচনে জনগনের আলোচনায় খান মামুনের নাম উপরে থাকায় এবার দলীয় মনোনয়ন আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুনের হাতেই আসবে বলে ধারনা করছেন বিশিষ্টজনরা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার আগ থেকেই খান মামুন এর পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। পারিবারিক ভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অদ্যবধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন তিনি।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন পারিবারিক শিক্ষা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে । তার বড় ভাই ১৯৬৭/৬৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। মেঝ ভাই এনামুল হক ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে দলের জন্য সাধারণ মানুষের জন্য থাকায় বরিশালে ত্যাগীদের তালিকায় শীর্ষ নেতা হিসেবে তার নামটাই আগে চলে আসে।১৯৮২ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বরিশালের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।এরপর ২০০৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
বরিশাল বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচয় থাকলেও জনসম্পৃক্তরার কারনে খান মামুন একাই বরিশালে জনগনকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের আজকের শক্তপোক্ত অবস্থানে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে বলে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে জানা যায়। ২০০৯ সালে বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে তিনি বিজয় আনতে না পারলেও দল এবং জনগনকে পর না করে জনসেবার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কে আরো সুসংগঠিত করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
১৯৮৯ সালে বি.এম. কলেজে ছাত্র সংসদ (বাকসু) এ.জি.এস ১৯৯০ সালে (বাকসু) জি.এস এবং ১৯৯৭ সালে ভিপি নির্বাচন করেন। তিনি ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান বিরোধী আন্দোলন, ১৯৮৯ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক থেকে বরিশাল অঞ্চলে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখেন খান মামুন । এছাড়াও বিএনপি এর সময় আজিজের পাতানো নির্বাচনের প্রতিরোধ ও ১/১১ পরবর্তী সরকার বিরোধী আন্দোলনে বরিশাল মহানগরের নেতৃত্ব দেয়। সেসময়ে বহু মিথ্যা মামলা ও পুলিশের নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয় তিনি। এ ছাড়া বরিশালের ক্রীড়াঙ্গন, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অঙ্গনে ও বিভিন্ন সেবা মূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন নিয়মিত।
বরিশালে নিজের ব্যক্তি উদ্যোগে বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। শিক্ষা জীবনে তিনি অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনায় ও ইতিহাস তিনটি বিষয়ে মাষ্টার্স ও এল.এল.বি পাশ করে। তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল এর গণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যদি আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুনকে আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন তাহলে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দলের উন্নয়নের যে প্রচেষ্টা সে প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখার জন্য তিনি কাজ করবেন বলে আসা করছেন সাধারন ভোটাররা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে যেমন সৎ যোগ্য সুশিক্ষিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া সৈনিক দের দায়িত্ব দিয়ে সমৃদ্ধির পথে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সে হিসেবে বরিশালের জনগন এসকল বিষয় বিশ্লেষণ করে খাঁন মামুন কেই আগামীর মেয়র হিসেবে যোগ্য বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানায়।