১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১:৫৯

স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামীর লিগ্যাল নোটিশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, মে ৬, ২০২৩,
  • 334 পঠিত
  • পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ী স্বামীর ৪ লাখ টাকা মূল্যের স্বার্ণালংকার, নগদ ৩লাখ ৮০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে গিয়ে স্বামীকে এক তরফা তালক দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই স্ত্রীকে ফিরে পেতে দুই দফায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন স্বামী মো. আল-মিরাজ। তবে ওই নোটিশের কোনো জবাব দেননি মেয়ে বা তার পরিবারের সদস্যরা। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায় যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে মো. আল মিরাজের সাথে বাউফলের ধানদী গ্রামের মো. আলতাফ মৃধার মেয়ে আনজুমান মেরীর সাথের দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। ২০২২ সালের ১লা মে তারা দুজন বিয়ে করেন। ঢাকাতে ভাড়া বাসায় শুরু করেন সংসার। গত ৩১ জানুয়ারি আল মিরাজকে তালাক নোটিশ পাঠায় মেরী।
    এদিকে স্ত্রীকে ফিরে পেতে দুই দফায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় মিরাজ। ওই লিগ্যাল নোটিশে দাবি করা হয়,‘ গত ৩০ জানুয়ারি মিরাজের অনুপস্থিতিতে তাকে না জানিয়ে মেরী তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এসময় মিরাজের বাসায় থাকা নগদ ৩লাখ ৮০ হাজার টাকা, প্রায় ৪লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও ২৪ হাজার টাকা মূল্যে স্মার্ট ফোন সাথে করে নিয়ে যায় মেরী। পরে মিরাজকে একতরফা তালাক নোটিশ পাঠায় আনজুমান মেরী।
    এঘটনার পর গত ৫ ফেব্রæয়ারি জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মো, আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় মো. আল-মিরাজ। কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো ওই লিগ্যাল নোটিশ আনজুমান মেরী গ্রহণ করে নি। গত ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় বার মেরীর বাবার কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। তবে তারও কোনো জবাব দেয়া হয়নি।
    আল মিরাজ বলেন, মেরীর সাথে আমার ৮বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মেরী তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেন। ঢাকার ভাড়া বাসায় আমরা দুজন ভালো ভাবেই সংসার শুরু করি। কোনো কারন ছাড়াই গত ৩০ জানুয়ারি আমাকে না জানিয়ে মেরী আমার বাসা থেকে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। পরে সে আমাকে তালাক নোটিশ পাঠায়। তালাক নোটিশ পাওয়ার পরে তাকে ফিরে পেতে আমি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। আমি তাকে নিয়ে ঘর-সংসার করতে চাই।
    এবিষয়ে আনজুমান মেরীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মেরীর বাবা মো. আলতাফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি মিরাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘ মিরাজ প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর কোনো খোঁজ-খবর নিতেন না। যার কারনে আমার মেয়ে তাকে তালাক দিয়েছেন।’
    প্রথম বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে মিরাজ বলেন,‘ প্রথম স্ত্রীর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আর মেরী জানতো আমি প্রথম বিয়ে করেছি। সে যেনো শুনেই আমাকে বিয়ে করেছে।’
    এবিষয়ে জেলা জজ আদালতের আইনজীবী বলেন,‘ স্বামীর নেওয়া টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার সহ নিয়ে ফিরে আসার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি ফিরে না আসেন তাহলে ১৮৬০ এর ধারা ৩৮০ এবং ৪০৬ এর অনুসারে মামলা দায়ের করতে পারবেন ভুক্তভোগী।

সংবাদটি শেয়ার করুন ...

এই বিভাগের আরো সংবাদ...
© All rights reserved © ২০২৩ স্মার্ট বরিশাল
EngineerBD-Jowfhowo