নোটিশ ছাড়াই হলুদ অটোরিক্সা চলাচলে
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে হলুদ অটোরিক্সা চলাচলে নতুন নিয়ম তৈরি ও প্রায় ৪২ অটো গাড়িতে মামলা দেয়ার প্রতিবাদে সড়ক দখল করে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছেন সাধারণ অটোরিকশা চালকরা। ৬মে বেলা ১২টার দিকে তারা (অটো চালকরা) এই কর্মসূচী পালন করেন। এসময় বরিশাল জেলা ও মহানগর ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক অটোরিকশা শ্রমিক কল্যান (রেজি ১৬৭৩) সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অটো চালক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিষয়টি ট্রাফিক বিভাগের উদ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করলেও তাদের (অটো চালকদের) পক্ষে কোন আশ্বাস না পাওয়ায় তারা (অটো চালকরা) নথুল্লাবাদ সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে অটো রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধ চলার পরে ট্রাফিক বিভাগের আশ্বাসে তারা (অটো চালকরা) তাদের আন্দলন ও ধর্মঘট প্রতাহার করে নেয়। বরিশাল জেলা ও মহানগর অটো শ্রমিক কল্যান সংগঠনের সভাপতি মোশারফ গাজী সাংবাদিকদের বলেন- আমাদের পেটের ভাত মেরে কার বা কাদের স্বার্থে এই আইন চালু করা হইছে এটা আমরা জানিনা। তবে এটা যে আমাদেরকে পথে বসানোর জন্য করা হয়েছে, তা আমরা বুঝতে পারছি। সড়কে আলফা-মাহিন্দ্র চলে, গ্যাসের গাড়ি চলে, আরো কত কিছু চলে। সেই দিকে ট্রাফিক পুলিশের কোন আইনও নাই, নিয়মও নাই, আর নজরও নাই। যত নজর সব এই হলুদ অটোর দিকে। তিনি আরো বলেন, আমরা চাই- প্রশাসনের সহোযগিতায় হলুদ অটো চালিয়ে যাতে দু-বেলা দু-মুঠো ভাত পরিবার নিয়ে খেতে পারি।
এবিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ট্টাফিক) এর উপ-পুলিশ কমিশনার তানভীর আহমেদ জানান, নথুল্লাবাদ এর সামনের অংশ টুকুর মধ্যে যানজট কমানোর জন্য একটা পরীক্ষা মূলক ইউটান রাস্তা করার জন্য পরীক্ষা মূলক ভাবে এটি করেন, তবে অটো শ্রমিকেরা দাবি করে রাস্তা অবরোধ করার পরে আমরা আমাদের সিদ্বান্ত থেকে সরে আসি। তাদের দাবির কারনে এবং অটো আটকের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা সম্পুর্ন মিথ্যা ৪২ টি অটো গাড়ি আটক হয়নি ওটাও মিথ্যা ২-১ একটা আটক হয়েছে কি না দেখেন। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তারা (অটো চালকরা) যদি আইনের প্রতি শ্রদ্বাশীল হয়, তাহলে আমরাও তাদের সর্বাত্বক সহোযগিতা করবো।